বাসুদেব ভট্টাচার্য্যী খোয়াই ১৮ই মার্চ…….ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের খোয়াই তুলা শিকড় ব্লক চত্বরে রয়েছে একটি শাখা । এই শাখার বিরুদ্ধে অর্থাৎ ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের চাম্পা হাওর শাখার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অনেক অভিযোগ রয়েছে ব্যাংকের পরিষেবা নিয়ে। গ্রাহকদের অভিযোগ এই শাখাতে যে সমস্ত গ্রাহকরা রয়েছেন তাদের প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হতে হয় বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে। এই বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরে অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা। এই খবরটি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের কাছে আসার পর খবরের সত্যতা যাচাই করতে সংবাদ মাধ্যমের বেশ কয়েকজন কর্মী খোয়াই তুলা শিকড় ব্লক এলাকাতে গিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ গুলি শুনেন এবং ক্যামেরাবন্দি করেন । পাশাপাশি ওই গ্রামীণ ব্যাংকের চাম্পা হাওর শাখার প্রমুখ বিজিৎ বিশ্বাসের সাথে তাদের ব্যাংকের ইন্টারনেট পরিষেবা কেমন তা জানবার চেষ্টা করেন। যথারীতি শাখা প্রমুখ বিজিৎ বিশ্বাস সাংবাদিকদের কে জানান বি এস এন এল এর ইন্টারনেট পরিষেবা খুবই খারাপ। যার জন্য গ্রাহকদেরকে সঠিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছেনা। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে পারবে না বলে তিনি জানান। কারণ এই বিষয়ে উনার কিছু বলার অনুমতি নেই। শেষে বিষয়টি বলা যাবে কিনা অনুমতি নেওয়ার জন্য তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের রিজনাল ম্যানেজার শ্রীমতি পায়েল সাহার সাথে কথা বললে তিনি শাখা সঞ্চালক বিজিৎ বিশ্বাসকে ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেন সাংবাদিকদের যদি কোন কথা থাকে তাহলে রিজিওনাল অফিসে গিয়ে উনার সাথে দেখা করার জন্য। একটি খবরের সত্যতা প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকরা যখন ছুটে যায় খবরের জন্য সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে খবরের সত্যতা স্বীকার না করে বরং ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের রিজিনাল ম্যানেজার শ্রীমতি পায়েল সাহা একপ্রকার সাংবাদিকদের অপমানিতই করলেন। ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের খোয়াই এর একটি শাখার গ্রাহকদের সমস্যা বিষয়ের খবর আনতে গেলে ব্যাংকের রিজনাল ম্যানেজার সাংবাদিকদের হাইকোর্ট দেখিয়ে দেন নিজেদের অকর্মণ্যতা ঢাকার জন্য। অথচ সামান্য একটু বিষয়কে কেন্দ্র করে গ্রামীণ ব্যাংকের রিজিওনাল ম্যানেজার এবং শাখা সঞ্চালক তাদের অকর্মণ্যতা ঢাকতে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেননি। অথচ দিনের পর দিন গ্রাহকরা এই ব্যাংকের পরিষেবা নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এখানে আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো গ্রাহকরা সঠিক পরিষেবা পাচ্ছে না অথচ শাখা প্রমুখ এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। কারণ ওনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে উনাকে পারমিশন দেয় নাই। কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ দিনের পর দিন ইন্টারনেট পরিষেবার নামে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এর দায়ভার কে গ্রহণ করবে। এই বিষয়টার কোন সদ উত্তর পাওয়া গেল না ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা সঞ্চালক থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। গ্রাহকদের এই ভোগান্তির শিকারের জন্য অবশ্যই ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক দায়ী যা বলার অপেক্ষা রাখে না পরিস্থিতির দিক দিয়ে । মঙ্গলবার সকাল থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে স্তব্ধ যার কারণে খোয়াই তুলাশিকর ব্লক চত্বরে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের যে শাখাটি রয়েছে এই শাখার পক্ষ থেকে গ্রাহকদেরকে কোন পরিসেবা দিতে পারেনি। সকাল থেকে পুরোদমে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। গ্রাহকরা সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে বসে থাকেন কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি । এমনকি এই দিন বিকেল চারটা পর্যন্ত পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখার সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য গ্রাহকরা এই রকমভাবে ভোগান্তির শিকার হলে এর দায়ভার কে গ্রহণ করবে। শাখার একজন কর্মকর্তা জানান ভারত সঞ্চার নিগমের খোয়াই শাখার ম্যানেজার কে বারবার ফোন করলেও ফোনের কোন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি অর্থাৎ ফোন তুলেন নি বলে জানান। অথচ এই শাখার পাশেই রয়েছে ত্রিপুরা কোঅপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড এর শাখা তাদের পরিষেবা চলছে স্বাভাবিক ভাবেই। এই শাখার প্রচুর সংখ্যক গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে খুব দ্রুততার সাথে এই শাখার গ্রাহকদের পরিষেবা স্বাভাবিক করার আহ্বান রাখা হচ্ছে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে। এখন দেখার বিষয় গ্রামীণ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই শাখার গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে গ্রাহক পরিষেবা স্বাভাবিক করতে আগামী দিনে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে ব্যাংকের সমস্ত গ্রাহকরা।