তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :-
সমাজের মেরুদন্ড এক শিক্ষকের নেক্কারজনক কৃতকর্মে কলঙ্কিত সভ্য সমাজ। এবার নিজ জন্মদাত্রী বৃদ্ধ মায়ের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক শিক্ষক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে নির্যাতিত ওই বৃদ্ধ মা সংবাদ মাধ্যমের সামনে আশ্রয় চাইলেন বৃদ্ধাশ্রমে। ওই গুণধর শিক্ষকের নাম চন্দন ভৌমিক। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন রাজনগরের ধর্মনগর গ্রামে।
সংবাদে প্রকাশ, দীর্ঘ মাস ধরেই বাসনা ভৌমিক নামের আশি উর্ধ বয়সের এক বৃদ্ধ মহিলাকে তার পুত্র পেশায় শিক্ষক চন্দন ভৌমিক ও তার স্ত্রী অপু ভৌমিক মিলে বেধড়কভাবে মারধর সহ শারীরিক ভাবে ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে পেরে শেষে বাধ্য হয়ে রবিবার দিন এলাকার সচেতন জনগণ সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়। রবিবার এলাকার মানুষজন সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে শিক্ষক চন্দন ভৌমিক এবং তার স্ত্রীকে বৃদ্ধ মায়ের উপর এই ধরনের নির্যাতন করতে বাধা দেওয়ায় এলাকাবাসীদের সঙ্গেও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যতা শুরু করে ওই শিক্ষক ও উনার স্ত্রী। অন্যদিকে তেলিয়ামুড়ার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই নির্যাতিত বৃদ্ধ মা এই নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় চাইলেন। পরবর্তীতে এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশকে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ এবং এলাকাবাসীর সহ ওই বৃদ্ধ মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ এর পর শিক্ষক চন্দন ভৌমিকের স্ত্রী অপু ভৌমিককে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ আটক করে নিয়ে আসে তেলিয়ামুড়া থানায়।
এলাকার লোকজন জানায়,,, চন্দন বাবু নাকি তেলিয়ামুড়ার আনন্দমার্গ স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আর শিক্ষক হল সমাজের মেরুদন্ড। আর এই শিক্ষক কর্তৃক নিজ জন্মযাত্রী মাকে নির্যাতনের ঘটনায় গোটা এলাকার জুড়ে ছি ছি রব উঠেছে। সেই সঙ্গে এলাকার লোকজন চাইছে ঐ শিক্ষক সহ উনার স্ত্রীর উপযুক্ত শাস্তি।।