বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৪শে অক্টোবর……বৃহস্পতিবার দুপুর খোয়াই রামচন্দ্র ঘাট এলাকায় সি পিএম দলের ২৪ তম আঞ্চলিক সম্মেলন করতে এসে তিপরা মাথার সমর্থকদের হাতে বাধা প্রাপ্ত হন সিপিএম দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী। অবশেষে সেই সম্মেলনকে সরিয়ে এনে খোয়াই জেলার সদর দপ্তরে নিয়ে এসে সম্মেলনটি সুসম্পন্ন করা হয়। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই ক্ষোভ উগ্রে দিলেন সিপিএম দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরি তিপরা মথা ও বিজেপি দলের উপর। এই সম্মেলনে উনার সাথে উপস্থিত ছিলেন এডিসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রঞ্জিত দেববর্মা। শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে হতে চলেছে রাজ্য ভিত্তিক পার্টির সম্মেলন। সেই সম্মেলনকে সামনে রেখে রাজ্যভিত্তিক পার্টির ২৪ তম আঞ্চলিক সম্মেলন চলছে রাজ্যজুড়ে । তাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে খোয়াই রামচন্দ্র ঘাট এলাকায় পার্টির এক কর্মীর বাড়িতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে দেশের সাথে রাজ্যেও পার্টির সমস্ত শাখা, প্রশাখা লোকাল কমিটি মহাকুমা কমিটি জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে । তাই তিনি সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সেখানে যাওয়ার পর যখন সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে তখনই হঠাৎ করে থানসার যারা পূজারি অর্থাৎ তিপরা মথার দলের সমর্থকরা বাধা দেয় এই সম্মেলনে ।তাদের বক্তব্য সিপিএম দল ২৫ বছর রাজত্ব করেছে আর নয় এখন মথার দল রাজত্ব করবে তাই এখানে সম্মেলন করা চলবেনা ।প্রতুত্তরে সিপিএম দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী বলেন সিপিএম আমলে সবাই এই ধরনের সম্মেলন করেছে কোন দলকে বাধা দেওয়া হয়নি সংবিধান অনুযায়ী সবাই সবার কাজ করবে । উনার এই কথায় মথার কর্মীরা শুনতে রাজি হয়নি শেষে এই সম্মেলনকে সুসম্পন্ন করার জন্য খোয়াই জেলা সদর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয় এবং এখানে সম্মেলনটি শেষ করা হয় ।খোয়াই রামচন্দ্র ঘাট এলাকায় সম্মেলনটি না করবার কারনে সেই ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তিপরা মথা ও বিজেপি দলের উপর সিপিএম দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী। এরপর তিনি সোজা আক্রমণ করেন বর্তমানের শাসকদল বিজেপিকে ।২০১৮ সালের বিজেপি দল অনেক প্রতিশ্রুতির মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার ছয় বছর অতিক্রান্ত হলেও এই প্রতিশ্রুতিগুলির ১০০ ভাগের এক ভাগও পূরণ করতে পারিনি বরং আরো ১০০ টি বোঝা চাপিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রকে অপহরণ করেছে বলে মন্তব্য করেন জিতেন চৌধুরী । শেষে ক্ষোভ উগ্রে বিজেপি দলকে নিশানা করে বলেন ২০২৩ সালের নির্বাচনে হারতে, হারতে, ডুবতে, ডুবতে তিপরা মথার কল্যাণে দ্বিতীয়বারের মতন রাজ্যে ঠায় পেয়েছে বিজেপি দল ।যে সমস্ত সরলসোজা ভোটাররা তাদেরকে ভোট দিয়েছিল তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোন কিছুরই পূরণ করতে পারেনি এই বিজেপির সরকার । অথচ সিপিএম দল চায়না সরকার পরিবর্তন হোক বা পড়ে যাক অথবা সরকার পদত্যাগ করুক এই ধরনের ধারণা বা স্লোগান সিপিএম দল আজ পর্যন্ত দেইনি । কিন্তু বিজেপি দলের নেতা কর্মীরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি অন্যদিকে ডাকাত দলের হোক অথবা চোরের দলের হোক সেখানে যদি স্বার্থ নিয়ে টানাটানি শুরু হয় তখন সেই ঘরটা ঘর থাকেনা যেমনটা হয়েছে বিজেপি দলের ক্ষেত্রে ।এতে করে দলের মধ্যে অবিশ্বাস আর দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে ।বর্তমান সময়ে বিজেপি দলের ঘরের লোক অবিশ্বাস আর দ্বন্দ্বের কারণে মহাসমুদ্রের এক সাইক্লোন এর মত তৈরি হচ্ছে তাদের পরিবেশ শুধু খোয়াইতে নয় বিজেপি দলের বিধায়করা যেখানে রয়েছে সেখানকার পরিবেশ আরো খারাপ বলে মন্তব্য করেন জিতেন চৌধুরী । অন্যদিকে তিনি এও বলেন খোয়াই মহকুমা জুড়ে রাস্তাঘাটের যা অবস্থা তার জন্য খোয়াই এর বিধায়কের জন্য কাজ হচ্ছেনা বলে গুঞ্জন উঠছে এটা ঠিক নয় । শুধু খোয়াই কেন সারা রাজ্য জুড়ে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা রাস্তাঘাট সহ রাজ্যে কোন কাজই হচ্ছে না বলে জানান সিপিএম দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে দলের পক্ষ থেকে সব সময় কথা বলা হচ্ছে রাজ্য বিধানসভায়। অন্যদিকে পার্টির কোন অনুষ্ঠান থাকলে বিজিবি দলের বি এম এস সংগঠনের পক্ষ থেকে সিপিএম দলকে কোন ধরনের গাড়ি দেওয়া হয় না যেটা হয়েছিল তিন অক্টোবর ঐদিন পার্টির জন্য কোন গাড়ি দেয়নি বিএমএস দুপুর বারোটা পর্যন্ত সমস্ত ধরনের গাড়ি আটকে রাখা হয়েছিল সবটাই বিজেপি দলের নির্দেশে ।তবু তিনি বলেন রাজ্যবাসী স্বার্থে সিপিএম দল আগামী দিন ছিল বর্তমানে আছে পরেও থাকবে এবং জনগণের জন্য লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।