খোয়াই প্রতিনিধি ১৬ই ডিসেম্বর……..কথায় বলে কোন ব্যক্তি যদি কোন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকে সেই ব্যক্তির কোন কাজে বাধা আসলে বাহুবল ছাড়াই রাজনৈতিক দলের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে অসাধ্য কাজকে সাধ্য বানিয়ে নিতে পারে নিজের পক্ষে।এই উপমাটির বাস্তব ঘটনা ঘটলো খোয়াই পুর পরিষদ পরিচালিত স্বপনপুরী ও তার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সেই ব্যক্তির পক্ষে।ঘটনার বিবরণে জানা যায় খোয়াই পুর পরিষদ পরিচালিত স্বপনপুরী অতিথি নিবাস নামক একটি হোটেল রয়েছে খোয়াই তবলা চৌহমুনী এলাকায়।যদিও স্বপনপুরী অতিথি নিবাস কে পুর পরিষদের টেন্ডারের মাধ্যমে কোন এক ব্যক্তিকে পাইয়ে দেওয়া হয় বাৎসরিক ৬ লক্ষ টাকা ভাড়া বাবদ।অথচ দেখা গেছে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর রাজ্যে যখন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে তখন পুর পরিষদের দায়িত্বে থাকা স্বপনপুরী অতিথি নিবাসটি কোন ধরনের টেন্ডার ছাড়াই পুর পরিষদের তৎকালীন সময়ে ভাইস চেয়ারম্যান অর্থাৎ বর্তমান সময়ের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মার ভাইপো দেবরাজ নাথ শর্মাকে স্বপনপুরির বরাত পাইয়ে দেওয়া হয় কোন ধরনের টেন্ডার ছাড়াই।এরপর থেকে বিগত তিন চার বছর ভালো ব্যবসা করে স্বপনপুরীর দায়িত্বে থাকা দেবরাজ নাথ শর্মার। কিন্তু স্বপনপুরির দায়িত্ব নিয়ে দেবরাজ নাথ শর্মা ২০১৮ সালের পর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্বপন পুরির বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়নিএর জন্য নিগম থেকে বেশ কয়েকবার নোটিশ ও প্রদান করা হয়েছে।আর তাতে করে স্বপনপুরীর বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬৮৭ টাকা চলতি বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।যদিও খোয়াই বিদ্যুৎ নিগমের সিনিয়র ম্যানেজার জানিয়েছেন ২০২০ সালে এক লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছিল স্বপনপুরির পক্ষ থেকে।এরপর থেকে আর একটি টাকাও পায়নি বিদ্যুৎ দপ্তর এখানে আসল রহস্যটা লুকিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী মহলের সূত্র থেকে জানা যায় বিল না দেবার পেছনের কারণটি হচ্ছে স্বপন পুরীর দায়িত্বে থাকা দেবরাজ নাথ শর্মার কাকা হচ্ছেন খোদ পুর পরিষদের কর্ণধার অর্থাৎ চেয়ারম্যান ব্যাস বিল দিলেই কি আর না দিলেই কি ।শেষে গত কয়েকদিন আগে বাধ্য হয়ে বিদ্যুত নিগমের পক্ষ থেকে স্বপনপুরি অতিথি নিবাসের বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয় নিগম । এখানে মজার বিষয় হল যেখানে নিগম কোন ব্যক্তির কাছে যদি বিদ্যুৎ বিল জমা করার পরও কিছু বিল বকেয়া থাকে সেই ক্ষেত্রে নিগম ওইসব ব্যক্তি বা কোন শিল্প কল কারখানার বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দেয়।অথচ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাওনা খোয়াই বিদ্যুৎ নিগম স্বপনপুরী থাকে সেই জায়গায় এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুনরায় স্বপন পুরির বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করে দিল নিগম।এই বিষয়ে নিগমের কাছে জানতে চাইলে জানা যায় বিদ্যুৎ দপ্তরের উপর মহল থেকে ডি জি এম হয়ে খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরের সিনিয়র ম্যানেজারের কাছে নির্দেশ আসে অতিসত্বর স্বপন পুরির বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়ার জন্য তাও ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদিও তার জন্য এক লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় নিগমকে।অন্যদিকে এক গোপন সূত্রে জানা যায় খোয়াই এর এক নেতৃত্ব যাকে খেয়াই শ্রী বলে আখ্যা দিয়েছিল খোয়াই বাসি সেই নেতৃত্বের সাথে স্বপন পুরির পরিচালনায় থাকা দেবরাজ নাথ শর্মার ঘনিষ্ঠতা খুবই গভীর তাইত সেই নেতৃত্বের উংলি হেলানোর ফলে বিদ্যুৎ দপ্তরের টপ টু বটম পর্যন্ত সেই নির্দেশিকা যাবার ফলে শেষে বাধ্য হয়ে উপর মহলের চাপে পড়ে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্বপন পুরীর বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেয় নিগম।এই ঘটনা প্রচার হতেই উদ্ভিগ্ন খোয়াই বাসি।এখানেই শেষ না যেখানে বাৎসরিক ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেবরাজ নাথ শর্মাকে স্বপনপুরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেই জায়গায় স্বপনপুরী থেকে একটি টাকাও ভাড়া হিসেবে পুরো পরিষদ পেয়েছে কিনা সন্দেহ রয়েছে আর সন্দেহের কারণ একটাই যা সবাই জানে।বাৎসরিক ছয় লক্ষ টাকা হলে যদি ধরি বিগত পাঁচ বছর ধরে তার ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা সেই টাকা আদৌ কি পুর পুরিসদকে পরিশোধ করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে ।যে ব্যক্তি ১০ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল জমিয়ে দিতে পারেনা সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা পাঁচ বছরের ভাড়া কিভাবে দেবে সেটা বলাই বাহুল্য। তাহলে এখানে দাঁড়ালো পুর পরিষদ স্বপনপুরী থেকে ভালো একটি মোটা টাকা পাওনা থেকে হাতছাড়া হয়ে গেল গত কয়েক বছর ধরে। আর যার ফলে পুর পরিষদের অন্তর্গত বিভিন্ন সাফাই কর্মী থেকে শুরু করে কর্মচারী খোয়াই শহরকে নিয়ন্ত্রণকারী পুর পরিষদের ট্রাফিক ভলেন্টিয়ার যারা খোয়াই শহরকে সুস্থ এবং যানজট মুক্ত রাখতে চেষ্টা করে তাদের কপালে সঠিক সময়ে বেতন জুটে না এক মাস দুই মাস তিন মাস ও পেরিয়ে যায় সেই সমস্ত মানুষের বেতন পেতে। আর অন্যদিকে এক ব্যক্তি পুর পরিষদের টাকায় মস্তি করছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে।এই সমস্ত ঘটনা জানতে পেরে খোয়াই বাসী ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজনীতির ক্ষমতার আঙিনায় বিভিন্ন নেতৃত্বরা ও তাদের আত্মীয়-পরিজনরা যেমন রাজনৈতিক দলকে কলঙ্কিত করছে অন্যদিকে দলের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেরা মুনাফা কামাচ্ছে।অথচ পুর পরিষদের অনেক কর্মীরাই জানেন না স্বপন পুরীর ব্যবস্থাপনায় রক্ষণাবেক্ষণ আয় ব্যয় কি হচ্ছে তার হিসাব রাখে হাতেগোনা এক দুইজন তাও গোপন ভাবে আর গোপনভাবেই ভাড়ার জন্য স্বপন পুরিতে নোটিশ যায় সেই নোটিশের উত্তর কি আসে কেউ জানে না স্বয়ং চেয়ারম্যান এবং উনার এক অধন্যস্ত আত্মীয় কর্মী ছাড়া। তাইতো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ২৪ ঘন্টার মাথায় নিগম পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ করে দিল স্বপনপুরীর একেই বলে ক্ষমতা।