বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৬ শে অক্টোবর…..বর্তমান সময়ে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে রাষ্ট্রবাদী সরকার । রাজ্যের প্রতিটি জেলাকে অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলার জন্ন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান সরকার। তারপর ও কিছু কিছু কাজকর্ম অবহেলা এবং অবজ্ঞার কারনে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছেন তার খোঁজ খবর নেওয়ার মতো সরকারি কর্ম কর্তাদের অবহেলা চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁচেছে। সারা রাজ্যে তথা খোয়াইয়ের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে উন্নত করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু খোয়াইয়ের ব্যস্ত তম সড়ক সুভাষ পার্কের নিপেন চক্রবর্তী এভিনিউ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসিয়ে রাখা অত্যাধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের খুটিগুলি, অবজ্ঞা অবহেলায় ভেঙ্গে পড়ছে ট্রাফিক সিগন্যালের খুটিগুলি। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যে অবস্থায় রয়েছে যে কোন সময় ট্রাফিক সিগন্যালের খুটিগুলি ভেঙ্গে কারোর মাথাতে অথবা কারোর গাড়িতে পড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে রাজ্যের আটটি জেলার মধ্যে খোয়াই একটি জেলা, ও জেলা সদর শহর হল খোয়াই। এই শহরটি এখনো সিসিটিভি আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। অথচ রাজ্যের বেশ কয়েকটি ছোট ছোট শহর সিসিটিভির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। অথচ রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রত্যেকটি শহর তথা খোয়াইকেও স্মার্ট সিটি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সিসিটিভির আওতার আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোপন সূত্রের মারফতে জানা যায় খোয়াই শহরকে সিসিটিভির আওতায় আনার লক্ষে প্রশাসনিকভাবে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি বাক্সবন্দী হয়ে নির্ধারিত অফিসে নষ্ট হচ্ছে এখনো তা নির্দিষ্ট স্থানে লাগানো সম্ভব হয়নি। এখনো লাগানো হচ্ছে না কেন এর পেছনে কি কারন রয়েছে খোয়াইয়ের সাধারণ জনগণ থেকে বুদ্ধিজীবী অংশের জনগণ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে শহর এবং শহরতলী এলাকাগুলিতে প্রতিদিন চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে এবং চুরির পাশাপাশি অবৈধ নেশা সামগ্রীর সেবন এবং অবৈধ নেশা সামগ্রীর কারবারিদের দাপাদাপি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। খোয়াই পুলিশ প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা করেও চুরি এবং অবৈধ নেশা সামগ্রীর লাগাম টানতে পারছে না। বৃহস্পতিবার খোয়াই পুর পরিষদ এলাকার লালছড়া থেকে খোয়াই এর পুলিশ প্রশাসন গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে দুইজন অবৈধ নেশা কারবারি সহ বেশ কিছু পরিমাণ নেশা সামগ্রী আটক করেছে। খোয়াই শহরের আনাচে-কানাচে অবৈধ নেশা কারবারীদের আনাগোনা প্রতিদিন লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া অফিস চলাকালীন সময় খোয়াই নিপেন চক্রবর্তী এভিনিউ এবং শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির সংলগ্ন এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে ভিড় পরিলাক্ষিত হয়। খোয়াই এর বুদ্ধিজীবী অংশের জনগণের প্রশ্ন সিসিটিভি এবং অত্যাধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট জায়গায় লাগিয়ে কার্যকর হচ্ছে না কেন। এখনো পুলিশ প্রশাসন তাদের প্রশাসনিক কাজকর্ম গুলি অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনা থাকতো সেই মানদাতার আমলের পদ্ধতিকে অবলম্বন করে কাজ করতে হয়। খোয়াইয়ের বুদ্ধিজীবী অংশের জনগণের বক্তব্য সিসিটিভি এবং অত্যাধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকা সত্বেও সঠিকভাবে কার্যকর হলে চুরির ঘটনা এবং অবৈধ নেশা কারবারীদের লাগাম টানা সম্ভব হবে। এখন দেখার বিষয় খোয়াই শহর এবং শহর লাগোয়া এলাকাগুলিকে আইনের শাসন জারি করতে প্রশাসন এবং পুর পরিষদ কবে নাগাদ এই সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা করে।