Saturday, July 27, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই উত্তর রামচন্দ্র ঘাট এলাকাতে বিভিন্ন শুকরের ফার্মে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু ধরা...

খোয়াই উত্তর রামচন্দ্র ঘাট এলাকাতে বিভিন্ন শুকরের ফার্মে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ার পর শকুন নিধন করল প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর।অন্যদিকে বাজারে কম দামে বিক্রি হচ্ছে শূকরের মাংস

খোয়াই প্রতিনিধি…… গত কয়েক মাস ধরেই খোয়াই মহাকুমা জুড়ে একটি খবর ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়ে পড়ে যে উত্তর রামচন্দ্র ঘাটের রবীন্দ্র দাসের শুকরের ফার্মে কোন এক ভাইরাসের আক্রমণে বেশ কিছু শুকর মারা যায় এবং সেই ফার্মের মালিক রবীন্দ্র দাস বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সেই শুকর গুলিকে কম দামে পাইকারি ব্যবসায়ীদের হাতে বিক্রি করে দেয় আর সেই ব্যবসায়ীরা সেই শুকরের মাংস মহাকুমার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতে থাকে যা খেলে সাধারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল ।এমনও সোনা গেছে অনেক মানুষ সেই শুকরের মাংস খেয়ে হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল।সেই ঘটনার পর প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর কিছুটা নড়ে চড়ে বসে।এবং বৃহস্পতিবার রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন টেস্ট এর মাধ্যমে খোয়াই ব্লকের অন্তর্গত উত্তর রামচন্দ্র ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের রবীন্দ্র দাসের শূকরের ফার্মে পর্যবেক্ষণ করলে দেখতে পায় সেই ফার্মের প্রত্যেকটি শূকরের মধ্যে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু দেখা দিয়েছে বলে ঐ দিনই এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রধান সচিব জগন্নাথ বণিক।এবং সম্পদ বিকাশ দফতরের উদ্যোগ ঐ দিন
আর টি পি সি আর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষার পর নিশ্চিন্ত হয়ে যান শূকরের মধ্যে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু রয়েছে ।এই আফ্রিকান ফিভার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পূর্ব রামচন্দ্র ঘাটের রবীন্দ্র দাসের শূকরের ফার্মটিকে এপিসেন্টার বা উৎস কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে। এবং এই এপিসেন্টার বা উৎস কেন্দ্রকে সবদিক থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত ইনফেক্টেড জোন বা সংক্রমণ এলাকা এবং ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিশেষ নজরদারি এলাকা বা সার্ভিলেন্স জোনের আওতায় আনা হয়েছে ঐদিন সাথে সাথে ।শেষে শুক্রবার দুপুরে খোয়াই প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে দুটি টিমে ভাগ হয় মোট ১২টি শুকর কে মাটি চাপা দেওয়া হয়।এই অভিযানে একটি টিমে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর বিপুল দে উনার দল দুটি শুকর কে মাটি চাপা দেন অন্যদিকে ডঃ মৃন্ময় বর্মন দশটি শুকর কে মাটি চাপা দেন।এই কাজ শেষ হওয়ার পর দপ্তরের সহ অধিকর্তা জগন্নাথ বনিক ওই এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন কাজ ঠিক ঠাক ভাবে হয়েছে কিনা ।শুকর নিধনের জন্য যদিও আগে বলা হয়েছিল যাদের ১৫ কেজি ওজনের শুকর রয়েছে সেই শুকরকে নিধন করলে২২০০ টাকা করে দেওয়া হবে অন্যদিকে ৪০ কেজি পর্যন্ত শূকরের জন্য৫৮০০ টাকা,এবং১০০ কেজি সুকর নিধন করলে১৫০০০ টাকা করে শুকর পালকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে। এই বিষয়টাকে নিয়ে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে কাগজে-কলমে জানানো হলেও দেখা যাচ্ছে গত দুদিন ধরে খোয়াই সুভাষ পার্ক স্থিত রাইমা মার্কেটের দ্বিতলে দেদার বিক্রি হচ্ছে শুকরের মাংস এবং সস্তায় এবং সেই শূকরের মাংসে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে কোন তথ্য নেই এমন কি এত বড় ঘটনা ঘটার পর ও খাদ্য দপ্তরের উদ্যোগে অথবা মহাকুমা শাসকের পক্ষ থেকে বাজারে গিয়ে এই বিষয়টাকে নিয়ে খোঁজ খবর করার কোন প্রয়োজন বোধ করেনি।এমনকি এ বিষয়টাকে নিয়ে খাদ্য দপ্তরের উদ্যোগে জনসাধারণের স্বার্থে আপাতত কিছু দিনের জন্য শুকরের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য কোন ধরনের অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পিং ও চালানো হয়নি।অন্যদিকে সস্তায় শূকরের মাংস পেয়ে অনেক ক্রেতাই কিনে নিচ্ছে সংক্রমিত এই মাংস । অথচ এই বিষয়ে খোয়াই সুভাষ পার্ক মার্চেন্ট এসোসিয়েশন এবং মহকুম প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোন হেলদোল। অথচ শূকরের এই আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু কে নিয়ে খোয়াই জেলা হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নির্মল সরকার স্বীকার করেছেন যে ঐ মাংস খেলে মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে সোয়াইন ফ্লু যার ব্যাপকতা দেখা দিতে পারে মহামারী রূপে খোয়াই মহাকুমা জুড়ে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

10 + 2 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য