Monday, June 23, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই বারবিল এলাকায় বিজেপির একনিষ্ঠ কার্যকর্তার পুকুরে প্রকাশ্যে মাছ চুরির ঘটনা শুনে...

খোয়াই বারবিল এলাকায় বিজেপির একনিষ্ঠ কার্যকর্তার পুকুরে প্রকাশ্যে মাছ চুরির ঘটনা শুনে আটকাতে গেলে দুষ্কৃতিকারীরা দা লাঠি নিয়ে তাড়া করে বলে অভিযোগ।

খোয়াই প্রতিনিধি ২৬ শে মার্চ…… খোয়াই বারবিল পঞ্চায়েত এলাকা থেকে একটি পুকুর লিজ নিয়েছিলেন খোয়াই জাম্বুর এলাকায় বাসিন্দা রাখাল দাস। উনার সেই পুকুর থেকে গত কয়েকদিন আগে ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতিকারি মিলে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা মাছ নিয়ে যায় বলে মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঘটনাটি জানান রাখাল দাস। পুকুরের মালিক রাখাল দাস আরো জানান ওনার লিজ নেওয়া পুকুরে ১০ থেকে ১২ জন মিলে মাছ ধরছিল।এই ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সেখানে ছুটে গিয়ে সেখানকার গোপেশ গোপ নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেন রাখাল দাস যে কে বলেছে তাদেরকে উনার পুকুর থেকে মাছ ধরতে উনাকে জিজ্ঞেস না করে । এই কথা বলতেই নাকি দ্যা, লাঠি নিয়ে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীরা রাখাল দাসের উপর হামলা করতে এগিয়ে আসে। শেষে সেখান থেকে তিনি প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আসেন। তিনি জানান গোটা বিষয়টি নিয়ে গত ২৩ তারিখ দুষ্কৃতিকারীদের নাম ধাম দিয়ে খোয়াই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানান। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ ওনাকে রিসিভ কপি দিতে দেরি করার কারণে মঙ্গলবার রাতে বাধ্য হয়ে পুকুরের মালিক রাখাল দাস খোয়াই মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এর দ্বারস্থ হন। সেখান থেকে পুলিশ আধিকারিক রাখাল দাস কে রিসিভ কপি দেয় বলে তিনি জানান। এখনো পর্যন্ত নাম ধাম দিয়ে মামলা করার পরও থানার কোন ভূমিকা না থাকায় প্রশ্ন তোলেন তিনি। থানা কর্তৃপক্ষ যদি ঘটনাটি সুস্থ তদন্ত না করেন তাহলে গোটা বিষয়টিকে নিয়ে তিনি আরো উচ্চপদস্থ জায়গায় যাবেন বলে জানান। অনতিবিলম্বে আসামিদের কে জালে তোলার জন্য সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে পুলিশের কাছে আবেদনটি জানান তিনি। উল্লেখ্য তিনি ১৮ এর আগের বিজেপি দলের একজন সক্রিয় কার্যকর্তা। একজন বিজেপি দলের কার্যকর্তা হবার সুবাদে উনার পুকুর থেকে যদি দুষ্কৃতিকারীরা দিন দুপুরে মাছ চুরি করতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষের পুকুর থেকে মাছ চুরি করা দুষ্কৃতিকারী কারেদের পক্ষে কোন ব্যাপার নয়। শুধু তাই না এই ধরনের ঘটনা এবং পুকুরে বিষ ঢেলে দেওয়া ঘটনা খোয়াই মহাকুমার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। দেখা যাচ্ছে কোন সময় বিজেপির কার্যকর তাদের পুকুরে বিষ ঢালা হচ্ছে, পাশাপাশি বিরোধী দলের কর্মকর্তাদের প্রকুরে ও একই রকম ভাবে বিষ ঢালা হয় এবং দিন দুপুরে মাছ চুরি করা হয়। এর সমস্ত কিছুর প্রতিবাদ করতে গেলেই দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র নিয়ে হামলা করতে উদ্যত হয়। এই সমস্ত ঘটনাগুলি ঘটার পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যখন থানায় গিয়ে মামলা করতে চান তখন দেখা যায় থানা কর্তৃপক্ষ তাদের সেই মামলা গ্রহণ করেন না। আর যদি বা গ্রহণ করেন তাহলে কোন কারণবশত সেই মামলা কে চেপে যান এই সব কারণের জন্যই মাছ চুরি করা ও পুকুরে বিষ ঢেলে দেওয়া দুষ্কৃতিকারীদের মনোবল দিন দিন বেড়ে উঠছে। এই বিষয়ে সাধারণ জনগণের অভিমত পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় মন্ডলকেও এই ধরনের বিষয় গুলিকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন আগামী দিনের জন্য।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

2 + 14 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য