ভবিষ্যৎ প্রতিনিধি খোয়াই ২২শে ফেব্রুয়ারি…..এক প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ২১ও২২ ফেব্রুয়ারি ডি ওয়াই এফ আই রাজ্য কমিটির দুই দিনের বিশেষ বর্ধিত অধিবেশন খোয়াইয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সারা রাজ্য থেকে মোট ৯০ জন যুব নেতৃত্ব এই অধিবেশনে উপস্থিত হন। ত্রিপুরা সরকারি শিক্ষক সমিতি এইচ বি রোড এর অডিটোরিয়ামে দুই দিনের সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।২১ ফেব্রুয়ারি বিকাল পাঁচঘটিকায় ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি উপস্থিত প্রতিনিধিদের দ্বারা শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমে দুই দিনের অধিবেশনের সূচনা হয়।সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিকের সভাপতিত্বে দুই দিনের অধিবেশনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন যুব আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন দেশে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে মানুষের উপর চরম আক্রমণ নামিয়ে আনছে। বেকারত্ব, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ইত্যাদি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের এই ব্যর্থতা আড়াল করতে ধর্ম, জাত পাতের নামে বিজেপি বিভাজন তৈরি করে মানুষের মগজ ধোলাইয়ের চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে সংঘটিত করতে যুব আন্দোলনের কর্মীদের বিশেষ দায়িত্ব নিতে তিনি আহ্বান জানান এই অধিবেশন থেকে। জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন রাজ্যের যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করছে ট্রিপল ইঞ্জিনের সরকার। কর্মসংস্থানের ভয়ানক সংকট এই মুহূর্তে এই রাজ্যে তৈরি হয়েছে তার সাথে বাড়ছে নেশার রমরমা ব্যবসা। শাসক দলের প্রায় সর্বস্তরের কার্যকর্তারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে। লুটপাট, মাফিয়ারাজ কায়েম হয়েছে রাজ্যে এই অরাজক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে যুব আন্দোলনকে তীব্র করার পরামর্শ দেন বিরোধী দলনেতা।সভায় আগামী দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচি উত্থাপন করেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব। তার উপর উপস্থিত প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধিদের আলোচনায় উঠে আসে রাজ্যে কর্মসংস্থানের সংকটজনক পরিস্থিতির কথা, উঠে আসে শাসক দলের দুর্নীতি, নেশা বানিজ্যোর কথা এবং রাজ্যের রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল অবস্থার কথাও। ধর্মকে ব্যবহার করে যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি এই রাজ্যে শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধেও প্রতিনিধিরা সোচ্চার হন।২২ শে ফেব্রুয়ারি অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন শুরুতে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য তথা বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস।দুই দিনের এই সভা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থান, নেশা ,দুর্নীতি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সাম্প্রতিক সময়ে শাসকদলের থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে আগামী এপ্রিল মাসে জেলা শাসকের অফিস অভিযান সংঘটিত করা হবে।
২৩ শে মার্চ ভগৎ সিং এর শহীদ দিবস এবং তপন চক্রবর্তীর শহীদানের ২৫ তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে রক্তদান শিবির, সেমিনার ইত্যাদি সংঘটিত হবে।মে মাস থেকে সংগঠনের একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে সম্মেলন প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সম্মেলন পর্যন্ত তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের দ্বারা সমাজতান্ত্রিক কিউবার উপর অবরোধ তৈরি করার প্রতিবাদে কিউবা প্রতি সংহতি কর্মসূচি নেওয়ারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।