খোয়াই প্রতিনিধি ১৭ই জুন…..আবার ও মদ মত্ত এক স্বামীর হাতে খুন হলেন ৩৫ বছরের তিন সন্তানের এক মা। ঘটনা খোয়াই থানাধীন গৌরনগর এলাকার ঝরা বস্তি এলাকার বাসিন্দা পরিমল ঝরা নিজের স্ত্রী রমলা ঝরা ৩৫ কে রবিবার রাতের অন্ধকার নৃশংসভাবে হত্যা করে।ঘটনার বিবরণ দিয়ে এলাকাবাসী জানায় রমলা ঝরা ও তার স্বামী পরিমল ঝড়ার মধ্যে প্রায় সময় মদ খাওয়া নিয়ে ঝামেলা হতো।তেমনি ঘটনা ঘটে রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়াঝাটি শুরু হয় সন্ধ্যা সাতটা থেকে তারপর স্বামী পরিমল ঝরা স্ত্রী রমলার ঝরাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায় বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে একটু দুরে একটি ছড়ার জলে রমলাকে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করে তারপর সেখান থেকে কিছু দূরে ধানক্ষেত ধরে টেনে হিচড়ে বাবার বাগানে নিয়ে যায় সেখানে গিয়ে কিছু ভারি জিনিস দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে তাতে রমলার মাথা ফেটে যায় এরপর রমলাকে নিয়ে তার স্বামী তার বাবা মঙ্গল ঝরার বাড়িতে নিয়ে যায় রবিবার রাত নয়টা থেকে ৯ঃ৩০ মিনিট নাগাদ এই টানা টানির মধ্যে রমলা অনেকটা মৃত প্রায় হয়ে পড়ে কারণ এটা নাহিছের মধ্যে রমলার ঝড়ার পিঠের চামড়া উঠে যায়।শেষে আসামি পরিমল ঝড়া অর্ধমৃত অবস্থায় স্ত্রীকে নিয়ে পিতা মঙ্গল ঝড়ার বাড়ির গোয়াল ঘরে গিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বসে থাকে আর তখন রমলা প্রায় মৃত।শেষে সোমবার সকালে যখন একই বাড়িতে থাকা আসামি পরিমল ঝরার ভাইরা মনু ঝড়া বিষয়টি লক্ষ্য করে তখন ভাইরা মনু পরিমল ঝড়াকে বলে তার স্ত্রীকে এই বাড়ি থেকে মেয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।এরপর আসামি পরিমল ঝড়া ও তার ভাই গোবিন্দ ঝরা মৃত রমলা ঝড়াকে নিয়ে মৃতের বাড়িতে চলে যায় এবং বলে জলে পড়ে নাকি তার স্ত্রী রমলা ঝরার মৃত্যু হয়েছে রবি বার রাতেই।এই বিষয়ে এলাকাবাসী একটু সন্দেহ হলে পরিমলের কাছে সঠিক কথা জানতে চাইলে তখন পরিমল উল্টোপাল্টা কথা বলতে থাকে তাতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয় এবং সবাই মিলে আসামি পরিমল ঝড়াকে বেধড়ক মারপিট করে।এরপর খবর পেয়ে পুলিশ ও ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে ছুটি আসে এবং তদন্ত করতে নেমে দেখতে পায় বারি থেকে ৫০০ মিটার দূরে মৃত রমলা ঝড়াকে টেনে হিচড়ে বাড়ি থেকে ছড়াতে নিয়ে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করে এর পর ধানক্ষেতের উপর দিয়ে টেনে হিচড়ে নিয়ে যায় রাবার বাগানে এবং বিভিন্ন জায়গায় রক্তের ছিটে পায়।যদিও পুলিশ সাথে সাথে আসামীকে গ্রেফতার করে তবে এর আগে এলাকাবাসীর গণপিটুনি খাওয়ার ফলে আসামি পরিমল ঝড়া বর্তমানে খোয়াই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশের পাহারায়।অন্যদিকে সমস্ত বিষয়টা তদন্তের আগেই পুলিশ আধিকারিক প্রসুন কান্তি মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলে দেন স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার ফলে ঘরের মধ্যে পড়ে মাথা ফেটে মৃত্যু হয় রমলা ঝড়ার।কিন্তু মহিলা থানার পুলিশ এবং ফরেনসিক টিম যখন সোমবার দুপুরে সমস্ত বিষয়টাকে নিয়ে তদন্ত নামে তখন দেখতে পায় যে মদ মত্ত স্বামী পরিমল ঝড়া স্ত্রীকে হত্যা করার জন্য রমালার উপর যে পাশবিক নির্যাতন করেছে শারীরিকভাবে তা বাড়ি থেকে শুরু করে ছড়ার জল থেকে শুরু করে রাবার বাগান ও রমলা শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত তার স্পষ্ট চিহ্ন পায় তদন্ত করে পুলিশ ও ফরেনসিকের দলরা অথচ পুলিশ আধিকারিক বুঝে যান স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার কারণে ঘরের ভিতরই স্বামী রমলা ঝরাকে হত্যা করে বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন এলাকাবাসীর বক্তব্য সাথে কোন মিল খাচ্ছে না।অথচ যারা তদন্ত করছে সেই তদন্তকারী অফিসারদের তদন্ত শেষ করার আগেই এত তড়িঘড়ি বয়ান দেন নাম কামানোর জন্য।অথচ সমস্ত ঘটনার এলাকাটি একবারের জন্য পরিদর্শন করেননি পুলিশ আধিকারিক ।হত্যা হয়েছে এর জন্য এত টুকুই যথেষ্ট বাকিটা তদন্তের কোন প্রয়োজন মনে করেন নি উনি।আর তাই যদি না হয় তাহলে কেন এই হত্যার পেছনের রহস্য বের করতে ফরেন্সিক দলকে আনা হলো ওদের সাথে কোন যোগাযোগ বা মতামত নেয়নি পুলিশ আধিকারিক প্রসন কান্তি মজুমদার কারণ হত্যাকারীও ততক্ষণে পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় তাই আর গভীর তদন্তের প্রয়োজন মনে করেননি পুলিশ আধিকারিক প্রসুন কান্তি মজুমদার।অথচ খোয়াই মহিলা থানার ওসি খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার যুগল ত্রিপুরা সহ সমস্ত অফিসাররা ঘটনার রহস্য বের করতে সারাদিন চেষ্টা চালিয়ে যান খুন হওয়া বাড়ি থেকে সেই রাবার বাগান পর্যন্ত কিভাবে খুন হওয়ার আগে মহিলাকে নৃশংসভাবে যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করা হয় তারই প্রমাণ বের করতে ব্যস্ত ছিল মহিলা থানার পুলিশরা । শেষে মৃত রমলা ঝড়াকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ময়না তদন্তের জন্য এবং বিকেলে ময়নাতদন্তের পর রমলার পরিবারের হাতে তার মৃত্যু দেহ তুলে দেওয়া হয়।এই ঘটনা এলাকায় প্রচন্ড উত্তেজনা বিরাজ করছে। মৃত মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে মহিলা থানার পুলিশ একটি হত্যার মামলা গ্রহণ করে।