তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি,
জুমের উপর নির্ভরশীল গিরিবাসীদের অবস্থা কেমন খোজ নিতে দেখা যায়না কাওকে। এমন অভিমত ব্যক্ত করে নিজেদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করল জুমিয়া পরিবার গুলো। সাধারণত জুমের চাষ করেই তাদের বছরের বেশির ভাগ সময় সংসার পরিচালনা করে থাকে । কিন্তু প্রকৃতি বিমুখ হলেই তাদের অর্থনৈতিক সংকটের অন্ত থাকেনা।
জুমের ফলন ভাল হয়নি গত এবছর এ বছরও সময়ে বৃষ্টি নাওয়ায় জুমে ধান রোপন করতে পারছে না জুমিয়ারা।
মুংগিয়াকামি ব্লকের অধীন প্রত্যন্ত এলাকা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উল্লেখ যোগ্য নোনাছড়া এডিসি ভিলেজের অন্তর্ভুক্ত প্রজাবাহাদুর মলসুম পাড়া এলাকা। এলাকায় বসবাসরত গিরি বাসির আয় উপার্জনের মাধ্যম হল জুম চাষ। আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের চাকমাঘাট থেকে দীর্ঘ পাহাড়ি চড়াই উৎরাই পার করে পৌছুতে হয় এই প্রজাবাহাদুর মসম এলাকায়। এলাকাটিতে প্রায় ৬০ পরিবারের বসবাস যার বেশির ভাগই জুমিয়া । প্রতি বছরের ন্যায় গতবছরও জুমের চাষ করে তারা। কিন্তু ফলন ভাল হয় নি গত জুম চাষে। ফলে আর্থিক ভাবে সমস্যার স্বীকারগ্রস্ত হয়ে পরে জুমিয়ারা। বাধ্য হয়ে বিকল্প খুজার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় এলাকায় বেশী কাজও থাকেনা সবসময়। আর সমতল এলাকায় আসতেও অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে আসতে হয়। গত বছর জুম ভাল হয় নি ফলে আর্থিক ভাবে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে জুমিয়া পরিবার গুলো। গত বছর প্রকৃতি বিরুপ হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জুমিয়া পরিবার গুলো। সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা নিস্তার পাবে বলেও আশা ব্যক্ত করে জুমিয়া পরিবারের সদস্যরা। এবছর ও বংশ পরম্পরা ধরে চলে আসা জুমে ধান চাষ করা শুরু করেছেন। বছরের বৈশাখ জৈষ্ঠ মাসে বিজ রোপন করে ভাদ্র, আশ্বীন মাসে ফসল ঘরে তুলে উনারা । কিন্তু সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় গত বছরের ন্যায় এবছরও ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকায় রয়েছেন জুমিয়া পরিবার গুলো । ধান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সব্জীর ভাষ ও করেন উনারা সাড়া বছরের সংসার প্রতিপালনের জন্য বেশিরভাগ অর্থের জোগান হল এই এলাকার গিরিবাসিদের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু জুমের ফলন ভাল না হলে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। নিজ উদ্যোগে করে আসা জুম চাষে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে এই জুমিয়া পরিবার গুলো অর্থনৈতিক ভাবে অনেকটাই সক্ষম হতে পারবে বলে আশা ব্যক্ত করেন জনৈক জুমিয়া।