রেল পথকে ভারতবর্ষের লাইফ লাইন বলা হয়। কারণ এই রেলপথের মাধ্যমে প্রতিদিন ভারতবর্ষের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে কোটি কোটি মানুষ যাতায়াত করে। তাতে করে রেল যাত্রী ও রেলের সুরক্ষা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবার জন্য চলতি বছরে কেন্দ্র সরকার কেন্দ্রীয় বাজেটে রেল সুরক্ষার খাতে ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রাজ্যসভার অধিবেশনে রেল বাজেট নিয়ে এমনটাই বললেন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য উনার আলোচনায়।
এই দিন রাজ্য বিধানসভায় আলোচনা করতে গিয়ে সংসদ রাজিব ভট্টাচার্য বলেন কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের দ্বারা তৈরি জনকল্যাণকামী বিভিন্ন বিকাশের কাজগুলি যাতে ভালোভাবে সুসম্পন্ন করা হয় সেই দিকে সবার নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি চলতি বছরে কেন্দ্রীয় সরকার রেল বাজেট নিয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটাকে বাস্তবায়ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একটা সময় ছিল আধুনিকভাবে রেলপথের উন্নয়নের তেমন প্রসার ঘটানো হয়নি যার ফলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে রেল বিভাগে। আর তাতে করে বর্তমান সময়ে আধুনিক ভারতে রেলপথ এবং রেল বিভাগকে আধুনিকভাবে উন্নয়নের অভাবে বিকশিত যাত্রায় ভারত আটকে গিয়ে ছিল। তাই সেই অব্যবস্থা থেকে রেল বিভাগকে উন্নত করতে কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। শুধু তাই না বর্তমান সময়ে রেলের সুরক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।এবং এই খাতে বাজেটে রেল সুরক্ষার জন্য ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে।
রাজীব ভট্টাচার্য আরও উল্লেখ করে বলেন স্বাধীনতার পর থেকে দেশে বহুবার সরকার বদল হলেও সার্বিক দিক দিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের বিষয় নিয়ে আগে তেমন কোনো চিন্তা ভাবনা করা হয়নি। তবে ২০১৪ সালে মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর উত্তর পূর্বাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটিয়েছে। রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সংসদ রাজিব ভট্টাচার্য এও বলেন ২০১৪ সালে কেন্দ্র মোদী সরকার গঠনের পর প্রথম দুই বছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালে ত্রিপুরার আগরতলায় ব্রডগেজের মাধ্যমে ট্রেনের লাইন তৈরির কাজ শুরু হয়। এবং ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা দিয়েছে আগরতলা থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত যাওয়ার জন্য বন্দেভারত ট্রেন চালু হতে চলেছে। তাতে করে সাত ঘন্টার মধ্যে আগরতলা থেকে গোহাটি পর্যন্ত যাত্রীরা পৌঁছে যাবে। শুধু তাই না একটা সময় রাজ্যে প্রথম ছিল মিটার গেজ লাইন, এরপর ২০১৬ সালে তৈরি হয়েছে ব্রডগেজ লাইন। এই লাইনগুলো দিয়ে তৎকালীন সময় স্টিম ইঞ্জিন পরবর্তী সময়ে ডিজেল ইঞ্জিল চলাচল করতো। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়াতে সমস্ত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রেললাইনে চলাচলের জন্য রেলের ইঞ্জিন গুলিকে বৈদ্যতিক ইঞ্জিনে রূপান্তরিত করা হয়। এর জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছিল সেই কাজও বর্তমান সময়ে সমাপ্ত হয়ে গেছে। তাতে করে কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ট্রেন চলাচলের সুবিধাকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে জনসাধারণের স্বার্থে । রেল বিভাগে এই ধরনের সুবিধা প্রদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য এও বলেন, ২০০৫-০৬ সালে রাজ্যে ২৩৪ টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তবে বর্তমানে সযয়ে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মধ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে ৩০ শে নেমে এসেছে। তাইত তিনি বলেন এটি সরকারের বিকাশের কাজ। সেই কাজগুলিকে ভালো মানসিকতার সাথে করার ফলস্বরূপই এই সাফল্য এসেছে।