বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১লা জুলাই….ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে আরো আধুনিকিকরণ করার লক্ষ্যে পুরনো তিনটি ফৌজদারি আইনকে পরিবর্তন করে নতুন তিনটি আইন প্রণোদিত করা হয়। আর সেই গুলিকে মান্যতা দিয়ে জনগণকে সচেতন করতে খোয়াই পুলিশ ,জেলা প্রশাসন,ও মহিলা পুলিশের উদ্যোগে সোমবার দুপুরে বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান গুলি চলে খোয়াই থানায়,মহিলা থানায়,ও জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে।সব জায়গায় একই বিষয়ে আলোচনা হয় যে ভারতীয় বিচার প্রক্রিয়াকে আধুনিকীকরণ করা দ্রুত ন্যায় বিচার পাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা নিশ্চিত করারলক্ষ্য তিনটি নতুন ফৌজদারি আই বলবত করা হয়েছে।যেমন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বি এন এস,ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বি এন এস এস এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ন বি এস এ এই তিনটি আইন ১ লা জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর হচ্ছে সমস্ত ভারতবর্ষে।ভারতীয় ন্যায় সংগীতা ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৮৬০ কে প্রতিস্থাপিত করেছে এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ফৌজদারী কার্যবিধি ১৯৭৩ কে এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ন ভারতীয় সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ কে প্রতিস্থাপিত করেছে।নারী শিশু ও সমাজের সকল স্তরের মানুষের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধকে নির্মূলের লক্ষ্যে এই নতুন আইন সংশোধন করা হয়েছে।ইহা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কিছু ধারার সংযোজন ও কিছু ধারার বিলের মাধ্যমে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫১১ টি ধারার পরিবর্তে নতুন ভাবে চালু হওয়া ভারতীয় অন্যায় সংহিতার ৩৫৮টি ধারাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।এবং নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের বিধান একত্রিত ভাবে চ্যাপ্টার ফাইভ এ রাখা আছে।কিন্তু কিছু কিছু অপরাধের শাস্তি হিসেবে কমিউনিটি সার্ভিসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বি এন এস এর 4(f)ধারায়।নতুন ফৌজদারি আইনে বি এন এস এস এর ১৭৩ ধারা অনুযায়ী একজন নাগরিক যে কোন থানায় এখন থেকে এফ আই আর দায়ের করতে পারবে জিরো এফ আই আর নামে যা উল্লেখিত আছে।নতুন আইনে ই এফ আই আর এর বিধানও আছে।ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বি এন এস এস এর ৫৩০ ধারা অনুসারে বিচার প্রক্রিয়া তদন্ত ইলেকট্রনিক্স মুডে করা যেতে পারে এবং নতুন আইনে ইলেকট্রনিক্স ব্যবস্থার মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিও প্রমাণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে । সাক্ষীদের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা এই নতুন আইনেও বলা হয়েছে।নতুন আইন মোতাবেক কোন সম্পত্তি যদি বেআইনি রোজগারের মাধ্যমে ক্রয় করা হয়ে থাকে তাহলে ঐ সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে এবং ছোট অপরাধের জন্য বিশেষভাবে সক্ষম বা বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে।এছাড়া ১২ বছর কম বয়সী বাচ্চাদের ধর্ষণ মামলায় আসামিদের মৃত্যুদন্ডের বিধানও রয়েছে।তাছাড়া ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা করতে হবে এবং ট্রায়ালরান শুরু করতে হবে এবং সাক্ষ্য গ্রহণ করার ৪৫ দিনের ভিতরে রায় দান করতে হবে এবং রায়দানের প্রতিলিপি সাত দিনের মধ্যে আদালতের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে নতুন আইন অনুযায়ী।এখানে উল্লেখ্য যে পুরনো আইন অনুযায়ী বিচারাধীন মামলা গুলি নিষ্পত্তি করা হবে এবং নতুন আইন ১লা জুলাই ২০২৪ থেকে সংগঠিত ঘটনা অবরোধের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে।এসব বিষয়ের উপর সোমবার দুপুরে খোয়াই থানায় এক সচেতনতামূলক অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পের আয়োজন করা হয় এখানে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসন কান্তি মজুমদার,খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার সহ ওই এলাকার নাগরিক বৃন্দরা একইভাবে খোয়াই মহিলা থানার উদ্যোগে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হয় থানার কনফারেন্স হলে উপস্থিত ছিলেন ওসি মিনা দেববর্মা সহ জেলা পুলিশ প্রশাসনের উচ্চ অধিকারীরা।