সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। তাহলেই সাফল্য পাওয়া যাবে। আজ সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে এবছর রাজ্যের বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়গুলির ফলাফল নিয়ে এক পর্যালোচনাসভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুরুতেই কোনও কাজের সাফল্য আসবে এমন নাও হতে পারে। সমস্যা চিহ্নিত করে তা কাটিয়ে উঠতে পারলেই সাফল্য আসবে। এবছর বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়গুলির ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ফলাফলের পর্যালোচনা করে দেখা গেছে অনেক বিদ্যালয়ের ফলাফল উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো হয়েছে।পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়গুলির ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজিতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিদ্যালয়গুলির অধ্যক্ষ ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীরা যেন ক্লাসে পাঠদান বুঝতে পারে সেজন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের আরও অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। তাছাড়াও এসএমসি কমিটিকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব বিদ্যালয়ের ফলাফল খারাপ হয়েছে সেই বিদ্যালয়গুলির উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়গুলির ফলাফল যাতে আরও ভালো হয় সেজন্য রাজ্য সরকার সচেষ্ট। তিনি বলেন, রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনে সিবিএসসি’র বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় কর্মসূচির ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে শিক্ষায় সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করেছে। এর সুফল আমরা পাবোই। পর্যালোচনা সভায় শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার রাজ্যে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালে এই প্রকল্প চালু করা হয়। বর্তমানে রাজ্যের ১২৫টি বিদ্যালয় বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয় প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এরমধ্যে ২৯টি বাংলা মাধ্যম এবং ৯৬টি ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়। গত তিন বছরের তুলনায় এবছর পাশের হার অনেকটা কমেছে। এই খামতি দূরীকরণে ইতিমধ্যেই শিক্ষা দপ্তর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পর্যালোচনা সভায় বিশেষ সচিব বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামোগত বিষয় ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ, অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে সভা, শিক্ষন পদ্ধতি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।পর্যালোচনা সভায় রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, অধ্যাপক, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলা শিক্ষা আধিকারিকগণও উপস্থিত ছিলেন। পর্যালোচনাসভায় তারা বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়গুলির পঠন পাঠন ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামীদিনে বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়গুলির ভালো ফলাফলের জন্য তাদের প্রত্যেকের আলোচনার বিষয়বস্তু ও পরামর্শ বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প রূপায়ণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা, মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডি পরমানন্দ সরকার ব্যানার্জি প্রমুখ।