বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৯ই সেপ্টেম্বর……..খোয়াই পুর পরিষদ এলাকার সব কয়টি ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের মধ্যে মাছের পোনা বিতরণ কর্মসূচি চলছিল সোমবার । যথারীতি পুর পরিষদের ১৪ নং ওয়ার্ডেও চলছিল সুবিধাভোগীদের মধ্যে মাছের পোনা বিতরণ কর্মসূচী। খোয়াই পুর পরিষদ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছিল যে সমস্ত সুবিধাভোগীদের পুকুর রয়েছে তাদের সবাইকে যেন মাছের পোনা সমানভাবে বন্টন করা হয়। সোমবার সকালে খোয়াই গনকী এলাকায় ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শঙ্কু পালের নেতৃত্বে মাছের পোনা প্রদান চলছিল খোয়াই পুর পরিষদের উদ্যোগে। সেখান ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানিক সূত্রধর নামে সংশ্লিষ্ট এলাকা এক সুবিধাভোগী নিজের পুকুর থাকা সত্ত্বেও কেন মাছের পোনা পায়নি তা জানতে চেয়েছিল ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শঙ্কু পালের কাছে। এ নিয়ে কাউন্সিলর এবং সুবিধাভোগী তথা খোয়াই ক্রিকেট এশিয়েশনের সচিব এর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে কাউন্সিলর ওই সুবিধাভোগী অসুস্থ মানিক সূত্রধর কে প্রচন্ডভাবে মারধর শুরু করে লাঠি দিয়ে। এই মারধরের ফলে মানিক সূত্রধর রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় এবং একটি পা মারাত্মক ভাবে জখম করে দেওয়া হয়। ঘটনার পর এলাকার মানুষজন উত্তেজিত হয়ে উঠে, উত্তেজিত জনতা খোয়াই পুর পরিষদের ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শঙ্কু পালকে উত্তম মাধ্যম দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হলে সে পালিয়ে গিয়ে খোয়াই পুর পরিষদের কার্যালয়ে গিয়ে কোনরকমে আত্মরক্ষা করে।অন্নদিকে এই ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় মাণিক সূত্রধর কে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর লক্ষ্য করেন মানিক সূত্রধরের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে, তখন রক্তাক্ত মানিক সূত্রধর কে দ্রুত জিবি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। উল্লেখ্য, মানিক সূত্রধর খোয়াই ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সচিব এবং সেইসঙ্গে তিনি প্রাক্তন শ্রমিক নেতা ছিলেন। এই ঘটনার পর বিজেপির নেতৃত্বরা আহত মানিক সূত্রধর কে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন। উল্লেখিত বিষয় খোয়াই পুর এলাকায় ব্যাপক দুর্নীতি এবং অবৈধ কার্যকলাপের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে এই শঙ্কু পালের বিরুদ্ধে। এলাকার মানুষজন এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তুষ্ট হলেও শাসকদলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বরা এই ধরনের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছেন না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে । এ ছাড়া মন্ডল কার্যালয়ে একটি প্রধান পদে রয়েছেন শঙ্কু পাল যার ফলে মন্ডলের আস্কারা পেয়ে যা খুশি তাই করে বেড়ায়। শুধু তাই না সমস্ত চোর বাটপারদের আস্কারা দিয়ে চলেছে মন্ডল কমিটি যার ফলে সঠিক বেনিফিশিয়ারিরা সঠিক জিনিস পায় না যেমনটা হয়েছে মাছের পোনা বিতরনের ক্ষেত্রে। গনকি এলাকায় হাতে গোনা এক দুজনকে দুই হাজার করে মাছের পোনা বিতরণ করা হয়েছে । অথচ এলাকার এক বেনিফিসারি মানিক সূত্রধর উনার বড় বড় পুকুর থাকা সত্ত্বেও উনাকে একটি মাছের পোনা বিতরণ করা হয়নি বা দেওয়া হয়নি কাউন্সিলর শঙ্কু পালের নির্দেশে।দেওয়া হয়েছে ছোট ছোট ডোবার মালিকদের যাকে কেন্দ্র করে গুঞ্জন উঠছে শঙ্কু পালের বিরুদ্ধে। বাকি মাছের পোনা গুলি অন্য জায়গায় বিক্রি করে মুনাফা কমানোর ধান্দা করছিল কাউন্সিলর শঙ্কু পাল। এতে করে কাকের মাংস কাকে খাওয়া শুরু করলে সাধারণ জনগণ কোথায় যাবে। জিবি সূত্রের খবরে জানা গেছে মানিক সূত্রধরের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে।