খোয়াই প্রতিনিধি ৫ ই আগস্ট…… খোয়াই মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব বিস্তার করলেও জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ কুম্ভনিদ্রায় আচ্ছন্ন।আর অন্যদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খোয়াই জেলা হাসপাতালে তিন দিন ধরে চিকিৎসাধীন এক রোগী।ঘটনায় বিবরনে জানা যায় খোয়াই পশ্চিম গনকির বাসিন্দা অলক চক্রবর্তী নামে ২৮ বছরের এক যুবক গত তিন দিন ধরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খোয়াই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এক সাক্ষাতে অলক চক্রবর্তী জানান বিগত এক মাস ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন পেশায় একজন সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন বহিরাজ্যে ।শেষে গত তিন চারদিন আগে খোয়াই জেলা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় অলক চক্রবর্তী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত।শেষে জেলা হাসপাতালে রেখে তার চিকিৎসা চলছে অন্যদিকে এক বিশেষ সূত্রে এও খবর পাওয়া যায় অলোক চক্রবর্তীর ডেঙ্গু জ্বরের ব্লাড রিপোর্টটি লুকিয়ে রাখে সেবিকারা চিকিৎসকের কথায় ।আক্রান্ত রোগী কে সেই রিপোর্ট দেওয়া হয়নি বলেও জানান রোগি অলক চক্রবর্তী।তবে কেন জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা অলোক চক্রবর্তীর রিপোর্ট লুকিয়ে রেখেছে এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে জনমনে।এর থেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব এবং হাসপাতালের চিকিৎসারত রোগীর বিষয়ে যাতে অন্য কেউ জানতে না পারে এবং বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ না হয় এর জন্যই এই ব্যবস্থা করে রেখেছে জেলা হাসপাতালের কর্মকর্তারা।যদি খোয়াই শহর এলাকায় ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার করে থাকে তাহলে বিভিন্ন জনপদ গুলিতে ডেঙ্গুর প্রভাব অবশ্যই রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ বিষয়টির জনসম্মুখে উঠে আসলে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যাবে সেই ভয়ে।ম্যালেরিয়া, আন্ত্রিক এবং ডেঙ্গু জ্বরকে নিয়ে জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কর্মসূচি দেখা যায়নি তাই নিজেদের অকর্মণ্য তাকে ঢেকে রাখতে খোয়াই জেলা হাসপাতালে কর্তৃপক্ষরা এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে বিশিষ্ট সূত্রে জানা যায়। খোয়াই জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীর চিকিৎসাধীন সেই খবর পেয়ে সোমবার সকালে রোগীকে দেখতে ছুটে আসেন খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার ও পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দাস সহ অন্যান্যরা ওরা এসে রোগীর খোঁজখবর নেন।অন্যদিকে এই খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে খোয়াই এর বিশিষ্ট সমাজসেবী অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক একজন লোক পাঠিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর হাতে তার চিকিৎসা খরচ বাবদ আপাতত ২০০০ টাকা তুলে দেন । এবং তিনি এও জানান ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার বিষয়ে কোনো সাহায্য লাগলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।অন্যদিকে খোয়াই মহাকুমার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব রয়েছে বলে খবর আসছে।