খোয়াই প্রতিনিধি ২৯ শে জুন…..২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যে দুটি বিধানসভা নির্বাচনে দুই দুইবার রাজ্যে বিজেপি দল ক্ষমতায় আসার পরও কিছু রাজনৈতিক দুষ্কৃতিকারীরা বিরোধী দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।তেমনি কিছু দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমনে গুরুতর আহত হয়ে জিবিতে ভর্তি হন ফরিদ মিয়া নামে খোয়াই উত্তর দুর্গানগরের বাসিন্দা তথা এক সিপিএম সমর্থক ।ঘটনার বিবরণ বিয়ের ফরিদ মিয়া জানান শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ খোয়াই সুভাষ পার্ক বাজার থেকে বাজার করে কিছু গ্যাসের ওষুধ কিনে পুরান বাজার হয়ে উত্তর দুর্গানগর বাড়ি ফেরার পথে পুরান বাজারের পেছনে বাঁধের পার এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারীরা ফরিদ মিয়ার বাইকটি থামিয়ে মারধর করতে থাকে শেষে প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়ে এসে পুরান বাজার এলাকায় দিলীপ সাহার দোকানে আশ্রয় নেয় সেখান থেকেও ৫-৭ জন দুষ্কৃতিকারীরা সেই দোকান থেকে টেনে হিচড়ে বের করে বেধড়ক মারতে থাকে শেষে প্রাণ বাঁচাতে ফরিদ মিয়া দুষ্কৃতিকারীদের কাছে নিজের প্রাণ ভিক্ষাও চায় কিন্তু তাতেও দুষ্কৃতিকারীদের মন ভরে নি শুধু তাই না সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকেই সেই দৃশ্য দেখছিল কিন্তু কেউ আসেনি তাকে বাঁচাতে বলে অভিযোগ করেন ফরিদ মিয়া। দুষ্কৃতিকারীদের অনেক কেই চিনতে পেরেছেন বলে জানান ফরিদ মিয়া তার মধ্যে রয়েছে সুখেন্দু,সৌরভ পাল সহ আরো চার-পাঁচজন সবাই মিলে কিল ঘুশি, লাথি, ও হেলমেট দিয়ে ফরিদ মিয়াকে বেধড়ক মারতে থাকে তাতে তার মাথায় ও ডান হাতটিতে ব্যাপক ব্যথা লাগে বলে জানান ফরিদ মিয়া।কেন মেরেছে জানতে চাইলে ফরিদ মিয়া জানান যে দোষ একটাই সে একজন সিপিএম সমর্থিত বলে। ফরিদ মিয়ার পরিবার সূত্রে এও জানা যায় এইভাবে তার ওপর বেশ কয়েকবার আগেও হামলা হয়েছে এমনিতে ফরিদ নিয়ে একজন হৃদরোগি যার জন্য গত কিছুদিন আগে বহির রাজ্য থেকে চিকিৎসা করিয়ে এসেছেন তার হার্টের অবস্থা তেমন একটা বেশি ভালো নাবলে জানান পরিবারের লোকেরা। ফরিদ মিয়ার মাথায় প্রচন্ড আঘাত পাওয়ার ফলে পরে পরিবারের লোকেরা যখন খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ফরিদ মিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য জীবিত পাঠিয়ে দেন জিবি সূত্রে এও জানা যায় সেখানে যাওয়ার পর তার মাথার সিটি স্ক্যান সহ অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা করা হয় তার অবস্থা তেমন একটা স্বাভাবিক নয় বলে জানা যায়।