খোয়াই প্রতিনিধি ২৫ শে জুন…..বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে খোয়াই জেলা হাসপাতালটি বিভিন্ন অপকর্মের জন্য সংবাদের শিরোনাম উঠে আসতে দেখা গেছে।আবার সেই শিরোনামে থেকে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ যারা রয়েছেন তারা হাসপাতালের উন্নতির জন্য ভালো মন্দ কাজ করিয়েছে বলে এক শ্রেণীর প্রচার মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি আদায়ের জন্য খবর করিয়ে বাহবা কুড়িয়েছেন খোয়াই জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপার মৃদুল দাস।উনি খোয়াই জেলা হাসপাতালে যোগদান করার পর অভিনব কায়দায় প্রতিদিন কোন না কোন আইন বেধে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর তাতে বাদ পড়েনি চিকিৎসক সেবাইক থেকে শুরু করে সিকিউরিটি গার্ডরা পর্যন্ত। উনার নিত্য নতুন নিয়ম ও রক্ত চক্ষুর কারণে হাসপাতালের কোন কর্মী তা প্রকাশ করতে পারছে না। উনার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসলেই তিনি সাফ কথা বলে দেন হাসপাতালের উন্নতির জন্য তিনি কাজ করে চলেছেন অথচ কি ধরনের কাজ করছেন এবং হাসপাতালের পরিষেবা দিচ্ছেন তা তদারকি করলে বেরিয়ে আসেবে হাসপাতালে অনেক কিছু অর্থাৎ কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মতন ঘটনাও ঘটেছে অথচ মেডিকেল সুপার ভাবেন সংবাদ জগতের লোকেরা ঘাসে মুখ দিয়ে চলে।আর ওইসব ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে জেলা হাসপাতালে মেডিকেল সুপার নিজের কিছু খাস লোককে ব্যবহার করেছে উপঢৌকনের এর মাধ্যমে।অন্যদিকে জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপার মৃদুল দাস হাসপাতালের উন্নত ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়ান এন করেন তেন করেছেন সুন্দরবনে গিয়ে বাঘ মেরেছেন।তেমনি বাঘ মারার এক কেচ্ছা বেরিয়ে আসলো মঙ্গলবার দুপুরে খোয়াই জেলা হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুপুরে খোয়াই জেলা হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয় খাবারের বিভিন্ন পদের মধ্যে সুস্বাস্থ্যকর পদ হিসেবে ডিম কে রাখা হয়েছিল।দুপুরের খাবারে ভাত ডাল সবজি ডিম যখন দেওয়া হয় এরপর রোগীরা যখন খেতে বসে তখন বেশ কয়েকজন রোগী দেখতে পায় তাদের পাতে দেওয়া ডিমটি যখন খেতে যায় তখন ডিমটি ভাঙ্গার পর দেখতে পায় সে ডিমের ভেতর মুরগির বাচ্চা অনেকটাও ফুটে গেছে শরীরের পালক দেখা যাচ্ছে ।এই ধরনের ফুটে যাওয়া ডিম এক দুইটা না অনেকগুলি এই ধরনের ডিম রোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।এসব দৃশ্য দেখে অনেক রোগী ঘেন্নায় বমি করার উপক্রম হয়েছে এমনকি অনেকে সেই খাবারগুলি ডিমগুলি ফেলে দেয় আবার অনেকে সেই গুলির ছবি তুলে রাখে।এই খবরটা দুপুর আড়াইটা নাগাদ খোয়াই জেলা হাসপাতালের সমস্ত রোগের মধ্যে খবরটি প্রচার হতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়াচড়ে বসে এবং সেই ওয়ার্ডের এক সেবিকা এসে সেই ডিমগুলিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হবে সেই ভয়ে তিনি লুকিয়ে থাকেন।শুধু তাই না এই বিষয়টি নিয়ে রোগীদেরকে কিছু না বলার নির্দেশও দেন সেই সেবিকা বলে এক গোপন সূত্রে জানা যায়।অথচ হাসপাতালে রোগীদের বিভিন্ন সুষম খাবার কিভাবে প্রস্তুত করে দেওয়া যায় এর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের কিচেন রুমের ইনচার্জ ননী গোপাল দাস কে।যদিও এই ঘটনার পর ননী গোপাল দাস কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ দেখা গেছে অনেকগুলি ডিমের মধ্যে বাচ্চা ফুটে আছে এখানে প্রশ্ন উঠছে যে ডিম গুলির মধ্যে বাচ্চা ফুটে উঠেছে সেইগুলি কোন হ্যাচারি থেকে এনে হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে খাবার জন্য বিতরণ করা হচ্ছে।সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধিতে এটা বলা যায় বাজারের পোল্ট্রির ডিম সেদ্ধ করার পর নষ্ট বা পচা হতে পারে এটাই সাধারণ ধারণা ও আমরা দেখে থাকি কিন্তু সেই জায়গার ডিমের মধ্যে বাচ্চা ফুটে আছে সেই ডিমকে সিদ্ধ করে খোয়াই জেলা হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। আর এই বিষয়ে হাসপাতালের মেডিকেল সুপার বলে বেড়ান খোয়াই জেলা হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে সর্বদা সুষম খাবার পরিবেশন করা হয়।আর যদিও সুষম খাবার পরিবেশন করাই হয় তাহলে এই ধরনের ডিম কোথায় থেকে আসলো।এখানে আরেকটি প্রশ্ন উকি মারতে পারে যে মেডিকেল সুপার এও বলতে পারেন আমি তো আর ডিমের মধ্যে প্রবেশ করে দেখিনি ডিমটি ভালো না খারাপ এটা যেমন সঠিক কথা তাহলে ডিম পচা হতে পারে সেই ডিমের বাচ্চা আসলো কি করে সেটাও প্রশ্ন থেকে যায় ।যদি উনি সঠিকভাবে হাসপাতালে সমস্ত কিছু সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন ।যদি এই ঘটনাটির দায় তিনি নেবেন না উনি দায় চাপাবেন রান্নার ইনচার্জ ননীগোপাল দাস এর উপর কারণ উনিই সমস্ত বাজার গুলি করেন ব্যাস হয়ে গেল উনি সেই দায়িত্ব থেকে নিজেকে খালাস করে নেবেন। এছাড়া হাসপাতালের খাবার নিয়ে অভিযোগ বিষয়টা আজ নতুন নয় সেই প্রসঙ্গে আর যাব না এই বিষয়টা আনতে গেলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে যা পরে প্রকাশিত হবে।তবে মঙ্গলবার দুপুরে খোয়াই জেলা হাসপাতালে পচা ডিমের কেলেঙ্কারি এই ঘটনায় হাসপাতালে সমস্ত রোগীদের মধ্যে একটি আতঙ্কের ছাপ পরিলক্ষিত হয় এই কারণে যে হাসপাতালের যে ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা চলছে তার ওপর এই ধরনের খাবার পরিবেশন এর ব্যবস্থা এক কথায় চিকিৎসার নামে রোগীদেরকে সবমিলিয়ে মারার বন্দোবস্ত প্ল্যান বলে অনেকেই মন্তব্য করেন ।শুধু তাই না ঘটনাটি খোয়াই মহাকুমা বাসি জানার পর ব্যাপক ক্ষোভ ব্যক্ত করেন এবং এও উক্তি করেন খোয়াই জেলা হাসপাতালের কুকুরের বাঁকা লেজটা আর সোজা হবে না কোনদিন ।