তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :-
কৃষি দপ্তরের একাংশ সরকারি কর্মচারীরা দুর্নীতির চাদরে মুড়ে দিয়েছে ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একাধিক কৃষি দপ্তরের স্টোর গুলিকে। এমনই এক ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয় স্থানীয় সাংবাদিকদের তদন্তে। আর জনগণের কাছে এই তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হবে এই প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে। সংবাদে প্রকাশ, তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি দপ্তরের অধীন ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের গোলাবাড়ি স্থিত কৃষি দপ্তরের স্টোরের বিরুদ্ধে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কৃষি দপ্তরের এই গোলাবাড়ি স্টোরটির ইনচার্জের দায়িত্বভার যেদিন থেকে বাপন ভৌমিক নামের এক কৃষি দপ্তরের কর্মচারী গ্রহণ করেছে, ঐ দিন থেকেই এই স্টোরটিতে শুরু হয়ে যায় ব্যবসা। স্টোরের স্টোর ইনচার্জ বাপন ভৌমিকের নির্দেশে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ সরকারি সার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির ব্যবসা। যদিও এই ধরনের ঘটনা স্টোর ইনচার্জ বাপন ভৌমিক তেলিয়ামুড়ার বর্তমান নিষ্কলুষ এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন কৃষি তত্ত্বাবধায়ক ড: সুব্রত রায়’কে সম্পূর্ণ ঘুমিয়ে রেখে নিজের চতুর বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর। তেলিয়ামুড়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের তদন্তে এই স্টোরের এমনই এক ঘটনা উঠে আসে। তদন্তে জানা যায়, কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বরাদ্দকৃত ভার্মি কম্পোস্ট এবং প্রোম সার কৃষি দপ্তরের গোলাবাড়ি স্টোরের স্টোর ইনচার্জ বাপন ভৌমিক উনার দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাওয়া সার দুর্নীতির প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের স্থানীয় এক কৃষকের কাছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি বেগ ধরে বিক্রি করতে চেয়েছিল। যদিও প্রতিবাদী ওই কৃষকের উপস্থিত তীব্র প্রতিবাদের কাছে স্টোর ইনচার্জ বাপন ভৌমিকের এই ব্যবসা করাটা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। স্থানীয় কৃষকদের একটি সূত্রে জানা যায়, বাপন বাবু এই স্টোরের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই দিনের পর দিন ধরে এই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে, গোলাবাড়ি স্টোরের VLW সুমন দেবনাথ এই গোটা ঘটনা অকপটে স্বীকার করে নেন এবং সুমন বাবু জানান স্টোরের ইনচার্জ বাপন ভৌমিক উনাকে মৌখিক নির্দেশ দিয়ে যেভাবে বলার জন্য বলেছেন উনি সেভাবেই কৃষকের কাছে টাকার বিনিময়ে সার বিক্রি করার কথা বলেছেন। তৎসঙ্গে এই গোটা ঘটনা, স্থানীয় সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনালাপে সম্পূর্ণ স্বীকার করেছেন উক্ত এলাকার কৃষি দপ্তরের সেক্টর অফিসার শৈবাল বিশ্বাসও। সেক্টর অফিসার জানিয়েছেন তিনি এই ঘটনার সম্পর্কে অবগত হয়েছেন এবং কৃষি তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে আলোচনাক্রমে এই ঘটনার সঙ্গে উতপ্রোতভাবে জড়িত স্টোর ইনচার্জ বাপন ভৌমিকের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত দপ্তর তদন্ত শুরু করবে, সেই সঙ্গে অতিদ্রুত এই দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড বাপন বাবুকে অন্যত্র বদলি করা হবে। কিন্তু স্টোর ইনচার্জ বাপন ভৌমিকের এই দুর্নীতিগ্রস্ত কীর্তি কলাপের ঘটনা ধরা পড়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে হাতে পায়ে একপ্রকার কম্পন শুরু হয়ে যায় বাপন বাবুর, শুধু তাই নয় সাংবাদিকদের ক্যামেরা দেখে এক প্রকার ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা হয়ে যায় এই দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড বাপন বাবুর।।