ডম্বুর জলাশয়কে কেন্দ্র করে বড় আকারের পানীয় জলের পরিশোধনাগার তৈরী করা আপাতত সম্ভবপর নয়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিধায়ক রঞ্জিত দাসের একটি দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে এই তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা।
ডম্বুর জলাশয়ের সংরক্ষিত জলকে পরিশোধিত করে জনগনের পানীয় জল হিসাবে নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করার উদ্দ্যোগ নেওয়া প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একটি দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশ উত্থাপন করেন বিধায়ক রঞ্জিত দাস।এই বিষয়ে বলতে গিয়ে দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা জানান, ডম্বুর জলাশয়ের সংরক্ষিত জলকে কেন্দ্র করে ধলাই জেলার ডম্বুরনগর ব্লকের রানীরপুকুর ভিলেজ কাউন্সিলের অন্তর্গত সদাইনন্দ পাড়াতে ১টি ও নাইক্কাছড়া ভিলেজ কাউন্সিলের অন্তর্গত প্রভুরাম পাড়ায় ১টি উদ্ভাবনী মূলক প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ডম্বুর জলাশয়ের সংরক্ষিত জলকে কেন্দ্র করে ধলাই জেলার রইসাবাড়ী ব্লকের পশ্চিম পোটাছড়া ভিলেজ কাউন্সিলের অন্তর্গত নারায়ন সর্দার পাড়াতে ইতিমধ্যে ১টি উদ্ভাবনী মূলক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে মোট ৫৫টি পরিবারে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে।তিনি আরো জানান, বর্ষাকালীন সময়ে ডম্বুর জলাশয়ের আনুমানিক ধারন ক্ষমতা ২৮.৬৯ কোটি লিটার এবং শুখা মরশুমে আনুমানিক ১৮.২০ কোটি লিটার জল জমা থাকে। ডম্বুর জলাশয়কে কেন্দ্র করে বিদ্যুৎ দপ্তরের যে হাইড্রাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে তা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নূন্যতম ২০.৯৮ কোটি লিটার বা তার বেশি জলের প্রয়োজন। এমনকি শুখা মরশুমে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ দিন প্রয়োজনের তুলনায় ডম্বুর জলাশয়ে সংরক্ষিত জল কম থাকে।এই হাইড্রাল পাওয়ার প্ল্যান্টের টারবাইনের উপর দিয়ে প্রবাহিত জলকে কেন্দ্র করে গোমতি নদীর পাদদেশের বহু ছোট ও মাঝারি ধরনের কৃষি জমিতে জল সেচের জন্য Lift Irrigation Scheme এবং পানীয় জল পরিশোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে।এর ফলে এই ডম্বুর জলাশয়কে কেন্দ্র করে বড় আকারের পানীয় জলের পরিশোধনাগার তৈরী করা আপাতত সম্ভবপর নয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পয়েন্ট অফ ক্লারিফিকেশান এনে বিধায়ক রঞ্জিত দাস জানান ,হাইড্রিল পাওয়ার প্লান্টের টার্বাইনের জন্য ব্যবহৃত জল থেকেও প্রকৌশলীদের মতামত নিয়ে জল শোধনাগার তৈরি করা যেতে পারে ।বিধায়কের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় কিনা তা দেখবেন।