Sunday, May 18, 2025
বাড়িখবররাজ্যহাওড়া নদীর সুরক্ষা বৃদ্ধিতে মোট ৩৯৩ কোটি টাকার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে -...

হাওড়া নদীর সুরক্ষা বৃদ্ধিতে মোট ৩৯৩ কোটি টাকার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে – মুখ্যমন্ত্রী

হাওড়া নদীর সুরক্ষা বৃদ্ধিতে মোট ৩৯৩ কোটি টাকার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।বৃহস্পতিবার মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার কর্তৃক আনিত এক দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের ব্যাখ্যায় এই তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা।

রাজ্যের হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন সংক্রান্ত বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় একটি দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশ উত্থাপন করেন বিধায়ক তথা মেয়র দীপক মজুমদার ।এর জবাব দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে প্রবাহিত দশটি প্রধান নদীগুলির মধ্যে হাওড়া অন্যতম ।রাজ্যের অন্যনদীগুলি হল: জুরি, দেও, মনু, ধলাই, খোয়াই, বুড়িমা বা বিজয় নদী, গোমতী, মুহুরি এবং ফেনী ইত্যাদি।হাওড়া নদীটি বড়মুড়া পার্বত্য রেঞ্জের পশ্চিম প্রান্ত থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের তিতাস নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।নদীটি 61.20 কিলোমিটার বা 38.00 মাইলদীর্ঘ।এর মধ্যে 52.00 কিলোমিটার তথা ৩২ মাইল ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে এবং 9.20 কিলোমিটার বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নদীর ধারে কিছু জায়গায় রাস্তা এবং বাঁধ এবং নদীর আড়াআড়ি ভাবে সেতুর স্তম্ভ, কজওয়ে, জল সংগ্রহের জন্য বালির ব্যাগ ইত্যাদি অবস্থানের জন্য নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ পরিবর্তন হচ্ছে এবং নদীর নাব্যতাও ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। তিনি জানান,এই অবস্হায় হাওড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে আগরতলা শহরের বন্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য, PWD (WR) বিভাগ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে Indo-Bangladesh Border এর Fencing থেকে চন্দ্রপুরের দেবতা ছেড়া সেতু পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৯.৩৩ কি.মি হাওড়া বাঁধের বন্যা প্রাচীর, সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালীকরণ ইত্যাদি প্রদান করে হাওড়া নদীর বাঁধের জন্য ড্রাফ্ট কনসেপ্ট পেপার তৈরি করা হয়েছে। মোট ২৪৮.০০ কোটি টাকার এবং তহবিলের প্রাপ্যতার উপর কাজ ইপিসি মোডে হাতে নেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, হাওড়া নদীর “Dredging and Rejuvenation” এর জন্য মোট ১৪৫.৭১ কোটি টাকার একটা কনসেপ্ট পেপার ভারত সরকারের জল শক্তি দপ্তরের কাছে Agartala Smart City Limited এর সহায়তায় তারিখে পাঠানো হয়েছে ।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন,বর্তমানে পূর্বদপ্তরের জলসম্পদ বিভাগ থকে হাওড়া নদীর গর্ভে জমাকৃত পলি, স্তূপিকৃত আবর্জনা এবং নদীর চর পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে, যা আগামী ছয়মাসের মধ্যে শেষ করার প্রচেষ্টা আছে। এই সঙ্গে সামগ্রিক জনসচেতনতা জাগরণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।তিনি আরো জানান, নদীর উপযুক্ত নাব্যতা রক্ষা করার জন্য হাওড়া নদীর পাড়কে অনধিকার দখল মুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

20 − 10 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য