বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপর যে বর্বরোচিত আক্রমণের ঘটনা চলছে তা কোন সভ্যসমাজ মেনে নিতে পারে না। মঙ্গলবার আগরতলায় বাংলাদেশ চলো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ।বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ এবং চিন্ময় প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এদিন রাজধানীতে বাংলাদেশ চলো শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় রাজ্যে একের পর এক প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পরছে। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সভা এবং রেলির করা হচ্ছে ।মঙ্গলবার রাজধানীতে বাংলাদেশ চলো শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভা ও রেলির আয়োজন করা হয়। সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ এবং চিন্ময় প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয় ।এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, দক্ষিণ জেলার শান্তির বাজারের ধম দিপা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা তথা অধ্যক্ষ ক্ষেমাচড় ভিক্ষু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় 17 হাজার স্থানে এই আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের বিষয় সম্পত্তি লুট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মা-বোনদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে ।এই অবস্থা কোন সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না বলেও জানান তিনি। এরই প্রতিবাদে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন বলে জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে ধম দিপা স্কুলের অধ্যক্ষ খেমা চড় ভিক্ষু জানান ,বাংলাদেশে হিন্দু, বুদ্ধ, খ্রিস্টান সহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপর আক্রমণ চলছে ।এই সমস্ত ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তারা এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন।
এদিন প্রতিবাদীদের রাজধানীর উপর রেলি করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন ।তাই প্রতিবাদীরা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে সমবেত হয়ে প্রতিবাদ জানান। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেই লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ প্রশাসন।