অতি বর্ষণের ফলে রাজধানীর বিভিন্ন নিম্ন অঞ্চল গুলি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। মানুষের বাড়ি ঘরেও জল ঢুকে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
প্রবল বর্ষণে শহরের নিম্ন অঞ্চল গুলি প্লাবিত। হাওড়া নদীর জল দুইকুল প্লাবিত করে নদী সংলগ্ন বিভিন্ন জনবসতি প্লাবিত করে তুলেছে ।সোমবার গভীর রাত থেকে নদীর জল বাড়তে শুরু করে ।নদীর জল বৃদ্ধি পাওয়ায় আগরতলা পৌর নিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কলেজটিলার প্রফেসর কলোনি ,টাউন প্রতাপগড়ের রাম ঠাকুর পল্লী, ত্রিনাথ কলোনি,প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্রের সুরেন্দ্রপল্লী ,রামকৃষ্ণ পল্লী প্রভৃতি নিচু এলাকায় মানুষের বাড়িঘরে জল প্রবেশ করতে শুরু করে ।জলস্তর বৃদ্ধি পেতে থাকলে রাতেই বেশ কিছু লোকজন বাড়ি ঘর ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেন ।হাওড়া নদী লাগুয়া প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্রের সুরেন্দ্রপল্লী এলাকায় হাওড়া নদী এবং বঙ্কেশ্বর ছড়ার জল প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করে তুলে ।রাত থেকেই মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে অন্যত্র চলে যান। মঙ্গলবার সকালেও নদীর জল বাড়তে থাকায় সুরেন্দ্রপল্লী এলাকায় জনগণের মধ্যে বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হিড়িক পড়ে ।এদিন সুরেন্দ্রপল্লী এলাকার এক যুবক জানান ,চারিদিক জলে জলময়। ঘরে জল প্রবেশ করায় রান্না বান্না বন্ধ। মূল সড়কপথ জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চলাফেরাও করা যাচ্ছে না। চরম অব্যবস্থা মধ্যে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে একদিকে অতি বর্ষণ এবং অন্যদিকে হাওড়া নদীর জলে আগরতলা পৌর নিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার প্রফেসর কলোনি, টাউন প্রতাপগড় রামঠাকুর আশ্রম সংলগ্ন রামঠাকুর পল্লী এবং ত্রিনাথ কলোনি জলমগ্ন হয়ে পড়ে ।খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে ছুটে যান কর্পোরেটর অঞ্জনা দাস ।এদিন তিনি জানান ,৩১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মহাত্মা গান্ধী স্কুল এবং রামঠাকুর গার্লস স্কুলে দুটি অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে ।দুর্গত মানুষজনদের এই ত্রাণ-শিবির গুলোতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রিতদের জন্য পানীয় জল থেকে শুরু করে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কর্পোরেটর অঞ্জনা দাস আরো জানান ,রাতেও যদি মানুষজন থাকতে চান তবে তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।
জানা গেছে অতি বর্ষণের ফলে রাজধানীর অন্যান্য নিম্ন অঞ্চলগুলিতেও জল ঢুকে পড়েছে ।এতে অনেক মানুষজন জলবন্দী হয়ে পড়েছেন। দুর্গত জনগনদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।