সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল অংশের জনগণকেই পিতা-মাতা এবং প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে ।শনিবার প্রজ্ঞা ভবনে পিতা-মাতা এবং প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং কল্যাণ আইন ২০০৭ সম্পর্কিত একটি রাজ্য ভিত্তিক কর্মশালায় এই কথা বলেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। মন্ত্রী বলেন ,সরকার জেলা এবং মহকুমা স্তরে বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। শনিবার প্রজ্ঞা ভবনে পিতা-মাতা এবং প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং কল্যাণ আইন -২০০৭ নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয় ।রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই সেমিনার ।সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী টিংকু রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের সচিব তাপস রায়, রাজ্য সরকারের আইন দপ্তরের জয়েন্ট সেক্রেটারি স্বপন চৌধুরী ,সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা স্মিতা মল এম এস প্রমূখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, রাজ্যে চার লক্ষ দশ হাজার মানুষ সামাজিক ভাতা পাচ্ছেন ।এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ।তিনি জানান রাজ্যে নয় লক্ষ পরিবারের মধ্যে ৪ লক্ষ ১০ হাজার পরিবার ভাতা পেয়ে থাকে। দেশের মধ্যে জনসংখ্যার নিরিখে ত্রিপুরা রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি ভাতা দেওয়া হয় ।মন্ত্রী জানান, বয়স্ক নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়। সমাজের সকল স্তরের মানুষের ।এই বিষয়টিতে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন করে তুলতে হবে ।তিনি আরো বলেন ,প্রতিটি পরিবারের দায়িত্ব তার মা-বাবাকে বাড়িতে রাখা ,সম্মান প্রদর্শন করা ।কারণ মা বাবার ত্যাগ ও তিতিক্ষার ফলেই আমরা আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি ।সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে গণ্য আন্দোলনে পরিণত করার আহ্বান জানান মন্ত্রী টিঙ্কু রায় ।তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন জেলাতে বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করা হবে ।কিন্তু বৃদ্ধাশ্রম তৈরিই সমস্যার একমাত্র সমাধানের পথ নয়। রাজ্যভিত্তিক এই সেমিনারে প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং কল্যাণ আইন নিয়ে বিসদ আলোচনা করেন রাজ্য সরকারের আইন দপ্তরের জয়েন্ট সেক্রেটারি স্বপন চৌধুরী।