বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১০ই মে……খোয়াই এর ইউ কো ব্যাংক খোয়াই শাখার সহকারী ম্যানেজার এর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে গ্রাহকদের সাথে দুর ব্যবহারের অভিযোগ উঠে আসছিল। ঘটনার বিবরণে জানা যায় খোয়াই সুভাষ পার্ক কালিবাড়ি রোড এলাকার ইউ কো ব্যাংকের সহকারী ম্যানেজার ইন্দোর চ্যাটার্জি প্রায় সময়ই নাকি গ্রাহকদের সঙ্গে দূর ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খোয়াই সুভাষ পার্ক এলাকার ইউ কো ব্যাংক এর শাখার সংলগ্ন এলাকাতে কান পাতলেই শোনা যায় এই শাখার সহকারী ম্যানেজার ইন্দোর চ্যাটার্জি গ্রাহকদের সঙ্গে দূর ব্যবহার করার বিষয় নিয়ে বিভিন্ন গ্রাহকের মধ্যে আলোচনা। এমনই ভাবে শুক্রবার দুপুরে একটি ঘটনা ঘটে ইউ কো ব্যাংক খোয়াই শাখাতে। শেখর ভট্টাচার্যী নামে একজন গ্রাহক ঐ শাখাতে যায় কিছু টাকা তোলার জন্য। যথারীতি চেক জমা দিয়ে কিছুক্ষণ বসে বসেছিল গ্রাহক শেখর ভট্টাচার্যী। ঠিক তখনই উনার সেল ফোনে একটি কল আসে যথারীতি কলটি রিসিভ করেন। ফোন রিসিভ করার সাথে সাথেই ঐ শাখার সহকারি ম্যানেজার ইন্দোর চ্যাটার্জী ক্ষীপ্ত হয়ে জান সেখর ভট্টাচার্যের উপর। হুমকি ধমকি সহ অকথ্য ভাষায় গালিগোলাজ করতে থাকে। তাতে গ্রাহক শেখর ভট্টাচার্যী হতবম্ব হয়ে যায়। প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেনি শেখর ভট্টাচার্যী পরে গোটা বিষয়টি বুঝে ওই গ্রাহক সহকারী শাখা প্রমুখ কে বুঝানোর চেষ্টা করেন। এরপরও তিনি গালিগালাজ দিতেই থাকেন। পরবর্তীতে শেখর ভট্টাচার্য তিনি সহকারি শাখা প্রমুখ কে বলেন আপনি ঠিক করছেন না। আপনি একজন গ্রাহকের সাথে এই রকম ব্যবহার করতে পারেন না। ঠিক তখনই সহকারী শাখা প্রমুখ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে শেখর ভট্টাচার্যীকে অনবরত হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন । জেলে পুড়ে দিবেন, ওনার সাথে বড় বড় মনত্রী মিনিষ্টার আছে বল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন শেখর ভট্টাচার্য ঈদকে দেখে নেবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। গোটা বিষয়টি নিয়ে ওই গ্রাহক শাখা প্রমুখের সঙ্গে বিস্তারিত ভাবে জানান। ঠিক তখনও একই রকম ভাবে ব্যবহার করেন তিনি। পরবর্তীতে ওই গ্রাহক শেখর ভট্টাচার্যী ওনার পরিচয় দিয়ে বলেন আমি একজন সংবাদ জগতের কর্মী। তারপরও ওই সহকারী শাখা প্রমুখ ইন্দোর চ্যাটার্জী উনার গালি গালাজে কোন খামতি দেননি। পরবর্তীতে গোটা বিষয়টি নিয়ে ওই গ্রাহক তথা সাংবাদিক শেখর ভট্টাচার্যী খোয়াই থানাতে একটি লিখিত আকারে সহকারী শাখা সঞ্চালক এর বিরুদ্ধে খোয়াই থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। সমস্ত ঘটনাটি খোয়াই মহকুমায় প্রকাশ হতেই মহকুমার স্তরের সকল সাংবাদিকরা খোয়াই থানাতে উপস্থিত হয়। এবং ঘটনাটি জানতে চাইলে খোয়াই থানার ওসি বলেন শেখর বাবুর অভিযোগ মূলে তিনি যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এখানে সবথেকে বড় বিষয় হল খোয়াই শহরটি যখন জেলা সদর হিসেবে পরিচিত রয়েছে তার দরুন এই জেলা সদরে সরকারি বেসরকারি প্রচুর সংখ্যক বেসরকারি ব্যান্কগুলির শাখা খোয়াইতে খুলেছেন। উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য হল এই শাখা গুলির মাধ্যমে মহকুমার গ্রাহকদের পরিষেবা দিয়ে ব্যাংকগুলি নিজেদের ব্যবসার বৃদ্ধি করবে। কিন্তু ব্যাংকের কর্মচারীরা সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে এই এই রকম দুর্ব্যবহার করলে আগামী দিনে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক গুলির শাখাতে গ্রাহকরা যেতে অনীহা প্রকাশ করবে। গ্রাহক পরিষেবা পেতে গিয়ে যদি গালিগালাজ খেতে হয় ব্যাংকের সহকারী শাখা প্রমুখের কাছ থেকে, তবে আগামী দিনে গ্রাহকরা এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তা করবে বলে তাদের অভিযোগ।