Sunday, May 18, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদ৪৩ বছর আগে কোলকাতায় বিজন সেতুতে হত্যা হওয়া ১৭জন আনন্দ মার্গীয় সন্ন্যাসী...

৪৩ বছর আগে কোলকাতায় বিজন সেতুতে হত্যা হওয়া ১৭জন আনন্দ মার্গীয় সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী দের হত্যার প্রতিবাদে খোয়াই আনন্দ মার্গ প্রচার সংঘের উদ্যোগে খোয়াই তে পালিত হল মানবতা বাঁচাও দিবস।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৩০শে এপ্রিল…..বুধবার দিনটি ছিল ঐতিহাসিক ৩০শে এপ্রিল। এই দিনটিতে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে খোয়াইতে ও পালিত হয়ে গেল মানবতা বাঁচাও দিবস। ৩০শে এপ্রিল দিনটি আনন্দমার্গ সংগঠনের কাছে ঐতিহাসিক দিন। কারণ ১৯৮২ ইং সনের ৩০শে এপ্রিল বাংলার তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের ঘাতক বাহিনী সাত সকালে প্রকাশ্য দিবালোকে কলকাতার বিজন সেতুর উপর গাড়ি থামিয়ে আনন্দমার্গের ১৭ জন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী কে ও মানসিকভাবে অত্যাচার ও মারধর করে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। ঐ হত্যাকাণ্ডের আজ ও বিচার হয় নি । ঐ দিন থেকে আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘ ৩০শে এপ্রিল দিনটিকে মানবতা বাঁচাও দিবস হিসেবে সমগ্র দেশে ও দেশের বাহিরে ১৮২ টি দেশে এই মানবতা দিবস টি পালন করে আসছে। ৩০শে এপ্রিল সমগ্র দেশের সাথে জেলা শহর খোয়াইতেও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দিনটি পালন করা হয়। বুধবার দুপুরে খোয়াই গণকিস্থিত আনন্দমার্গ স্কুলের অভ্যন্তরে সপ্তদশ দধীচি স্মরণে কীর্তন, সাধনা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। শেষে বিকেল পাঁচটায় আনন্দমার্গ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় আনন্দমার্গীদের এক মৌন মিছিল। এই মৌন মিছিল খোয়াই শহর পরিক্রমা করে সুভাষ কোহিনূর কমপ্লেক্সের সামনে এসে জমায়েত হয়। এই জমায়েতে ঐতিহাসিক ৩০শে এপ্রিল দিনটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংগঠনের একাধিক কর্মী গৌতম ঘোষ, মৌসুমী রায় ও সংগঠনের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসিনী অবধূতিকা আনন্দ নিরোক্তা আচার্যা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ১৯৮২ ইং সনের ত্রিশে এপ্রিল ভোরের আলো ঠিকমতো ফুটে উঠেনি। কলকাতা তিলজলা আনন্দমার্গ আশ্রমে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদানের জন্য সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনীরা গাড়ি করে বন্ডেল গেইট ওবিজনসেতু দিয়ে যাওয়ার সময় তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর হিংস্র বাহিনী ১৭ জন সর্বত্যাগি সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রথমে মারধর ও পড়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারে । সমস্ত বাংলা জুড়ে উঠে ধিক্কার প্রতিবাদ। ঐতিহাসিক ৩০শে এপ্রিল দিনটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আইনজীবী গৌতম ঘোষ বলেন সি পি আই এম ১৯৬৭ সাল থেকে আনন্দ মার্গ সংগঠনের উপর আক্রমণ শুরু করেছিল। সিপিআইএম ঘাতক বাহিনীর হাতে পশ্চিম বাংলায় মোট ৩০জন আনন্দমার্গের সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী নিহত হয়েছে। আমরা কিন্তু এখনো তদন্তক্রমে বিচার চাইছি। আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘ ঘটনার পর থেকে দেশবাসীর কাছে দাবি জানিয়ে আসছে সুপ্রীম কোর্টের সিটিং বিচারপতি দিয়ে ঘটনার তদন্ত করাতে হবে। সুবিচার আজও পাওয়া যায় নাই । সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৯৮২ ইং সনের ৩০শে এপ্রিল থেকে প্রতিবছর এই দিনটি মানবতা বাঁচাও দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বক্তব্য রাখেন আচার্য জগৎমিত্রানন্দ অবধূত, দানিশ পাল ও বিদিত দেবনাথ। যতটুকু জানা গেছে বাংলার বর্তমান সরকার ১৯৮২ ইং সনের ৩০শে এপ্রিলের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন। কমিশন তদন্ত করে সরকারের কাছে রিপোর্ট দাখিল করেছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

thirteen − 4 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য