বাসুদেব ভট্টাচার্জী খোয়াই ২৪শে এপ্রিল….….পর পর দুই দিন লাগাতর চুরি কান্ডের ঘটনায় আতঙ্ক গ্রস্ত সমস্ত খোয়াই বাসি। প্রতিনিয়ত দিন দুপুরে চুরি কান্ডের ঘটনায় নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে সমস্ত খোয়াই বাসি।খোয়াই সহরে দিন দুপুরে চুরি কান্ডের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তেমনটাই প্রথম ঘটে বুধবার খোয়াই লাল ছড়া এলাকার বাসিন্দা প্রসান্ত দেব এর বারিতে। উনার বারি থেকে চোরের দল স্বর্নালংকার সহ নগদ অর্থ চুরি করে নিয়ে যায় ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে। তেমই ভাবে আবার চুরি কান্ড ঘটে খোয়াই লাল ছড়া এলাকার বাসিন্দা অপু রায় এর বাড়িতে বৃহস্পতিবার দুপুরে। চোরের দল রান্নাঘরের পিছনে দরজা দিয়ে ঢুকে ঘরের দুটি আলমিরা ভেঙ্গে সেখান থেকে প্রায় সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার সহ নগদ ১২০০০ টাকা নিয়ে যায় চোরের দল। ঘটনার বিবরণ দিয়ে বাড়ির মালিক অপুরায় জানান তিনি প্রতিদিনের ন্যায় সকাল আটটায় খোয়াই নতুন টাউন হলে চলে যান ডিউটির জন্য। সেখানে তিনি সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। অন্যদিকে ওনার স্ত্রী ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে দশটা নাগাদ তাদের স্কুলে চলে যান। স্কুল থেকে ফিরে দুপুর দুইটা নাগাদ যখন বাড়িতে আসেন এবং ঘরের দরজা খুলে দেখতে পান সমস্ত ঘরে জামাকাপড় ছিটানো পাশাপাশি ঘরের দুটি আলমিরার দরজা ভেঙ্গে দিয়ে সর্নালঙ্কার চুরি হয়ে গেছে। ওরা যখন বাড়িতে ছিল না তখন দুপুর একটা থেকে দেড়টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। চোরের দল রান্না ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে এবং ঐ দিকেই পালিয়ে যায় । অথচ এত ঘনবসতি এলাকার সত্ত্বেও কোন লোকের চোখে ধরা পড়নি পালিয়ে যাওয়ার সময় চোরদের। পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘর থেকে দুটি বঠি দা রান্নাঘরের পেছনে দরজার নিচের জঙ্গলে ফেলে দিয়ে যায়। ধারণা করার হচ্ছে সেই বটিদা দিয়ে ওই দুটি আলমিরা গুলি ভেঙ্গে ছিল চোরের দল। এই ঘটনার খবর পেয়ে খোয়াই থানার পুলিশ সাথে সাথে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করে। যদিও দুটি ঘটনাকান্ডে চোরদের এখনো পুলিশ ধরতে পারেনি। তবে এলাকাবাসীর ধারনা বিভিন্ন নেশা কারবারিরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আশা করছেন। কারণে সরকার ভাইদের পকেট যখন ফাঁকা হয়ে যায় তখনই তারা বিভিন্ন চুরি কাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ে এবং তার বেশ কিছু প্রমাণও পাওয়া গেছে। তবে এই ঘটনা কাণ্ডে নেশা কারবারীরা জড়িত বলে আশা করছেন অনেকেই। এখন দেখা যাক পুলিশ তদন্তক্রমে কি বেরিয়ে আসে।