মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচির ৪১তম পর্বে আজও মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা সমস্যা পীড়িত মানুষের অভাব ও অভিযোগের কথা শোনেন। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষুতে আগত সাহায্য প্রত্যাশীদের মধ্যে অধিকাংশই এসেছেন চিকিৎসায় সহায়তার আর্জি নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী তাদের রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং চিকিৎসকদের উপর আস্থা রাখার জন্য আহ্বান জানান।
তেলিয়ামুড়ার গোপাল দেবনাথ তার সাড়ে ৩ বছরের ছেলের চিকিৎসায় সহায়তার আর্জি নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। গোপাল দেবনাথের ছেলে জন্মগত মস্তিষ্কের সমস্যায় আক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রী গোপাল দেবনাথের ছেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য জি.বি.পি. হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারকে নির্দেশ দেন। লঙ্কামুড়ার কাজল দেবনাথ তার ছেলের চিকিৎসার সহায়তার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। কাজল দেবনাথের ছেলে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে জি.বি.পি. হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মুখ্যমন্ত্রী কাজল দেবনাথের ছেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। অনুরূপভাবে মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে আগত অমরপুরের শিবাদেবী জমাতিয়ার ছেলের চিকিৎসা, আগরতলার পূর্ব শিবনগরের অজিত সাহার মেয়ের চিকিৎসা, আগরতলার লঙ্কামুড়ার সমীর ঘোষ, মধ্য ভূবনবনের প্রদীপ দেব, বিলোনীয়ার পূর্ব কলাবাড়িয়ার রাহুল শর্মা, বিলোনীয়ার ঋষ্যমুখের লক্ষ্মীকান্ত পাটারি, আগরতলার বি. কে. রোডের তীর্থ পাল, উত্তর চাম্পামুড়ার অর্চনা দাস (সিংহ), বড়দোয়ালীর সনব সাহা, অপু শীল, কমলপুরের সূর্যধন সিনহার ছেলের চিকিৎসা, অমরপুরের কার্তিক চন্দ্র সাহা তার ছেলে ও স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চেয়েছেন।
প্রত্যেকের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী জি.বি.পি. হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. শংকর চক্রবর্তী এবং ক্যান্সার হাসপাতালের সুপার ডা. এস দেববর্মাকে নির্দেশ দেন। রাজ্যেই যেহেতু উন্নত চিকিৎসার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেই সুযোগ গ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সাহায্য প্রত্যাশীদের পরামর্শ দেন।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে আগত আগরতলার প্যালেস কম্পাউন্ডের শান্তনু কুমার করের দিব্যাঙ্গ ছেলের, ভট্টপুকুরের সরস্বতী সাহা এবং বাধারঘাটের মাতৃপল্লীর অঞ্জনা সাহা (রায়)-কে সামাজিক ভাতা প্রদানের বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা এল রাঙ্খল, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি প্রণয় দেবনাথ, জি.বি.পি. হাসপাতাল, অটল বিহারী বাজপেয়ী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতাল এবং আই.জি.এম. হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারগণ, আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এবং মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।