Sunday, June 22, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদখোয়াই জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার কৌশল করে বিনা ট্যান্ডারে কাজ না করে...

খোয়াই জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার কৌশল করে বিনা ট্যান্ডারে কাজ না করে ৩৫ লক্ষ টাকার কাজের বরাত পাইয়ে দিলেন এক ঠিকাদারকে ।

খোয়াই প্রতিনিধি ২শে মার্চ…..আইনের রক্ষকরাই যখন ভক্ষক হয়ে আর্থিক দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে যায় তখন সাধারণ জনগণ আইনের রক্ষকদের উপর আর কতটুকু বিশ্বাস রাখবে পারবে সেটাই বড় বিষয়। রাজ্য সরকার দুর্নীতি দমন করতে সমস্ত সরকারি কার্যালয় বিভিন্ন ক্রয় বিক্রয় ও নির্মাণ কাজকর্ম গুলির জন্য বাধ্যতামূলক করেছিল অনলাইনে দরপত্র জমা দেবার জন্য যাতে করে সরকারি কাজকর্ম এবং নির্মাণ ক্ষেত্রে কোন ধরনের দুর্নীতি না হয়। কিন্তু একটি সূত্র জানা যায় খোয়াই জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার অন্তত সুকৌশলে ও সম্মিলিতভাবে বিনা দরপত্রে খুবই এক কাছের লোককে অবৈধভাবে কাজ পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কাজ না করে বিল জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবার ঘটনায় খোয়াই জেলার পুলিশ মহলকে কালিমা লিপ্ত করল। অথচ ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই দপ্তরের মন্ত্রী। এইভাবে রাজ্যের সজ্জন ও শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রীকে কালিমা লিপ্ত করার কোন অধিকার কোন পুলিশ অফিসারের । এই গোটা ঘটনাটি আদৌ আরক্ষা দপ্তর সঠিক তদন্ত করব কিনা এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সাধারণ জনগণ থেকে বুদ্ধিজীবী মহলের ব্যক্তিরা। রাজ্য সরকারের নির্দেশমাকে একেবারে কলাপাতা বানিয়ে খোয়াই জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা গত ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখে একটি নোটিশ প্রকাশ করেন যার ফাইল নাম্বার No.720-25/F.4(4)/Const/SP (KHW.)24। এই টেন্ডার নোটিশের মোট ১৮ টি কাজের জন্য করা হয় ৩৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৬৬ টাকা। এই মোট আটটি কাজের মধ্যে রয়েছে খোয়াই জেলার প্রতিটি থানার বেরাক সংস্থার খোয়াই থানার বিভিন্ন টাইপের কোয়ার্টার সংস্কার, খোয়াই গণকির পুলিশ লাইনের ব্যারাক সংস্কার সহ ইত্যাদি কাজগুলি। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যায় বিনা টেন্ডারে কাজের বরাত দেওয়া হয় কাছের লোক কৈলাশরের এক ঠিকাদারকে। আর ওই ঠিকাদার আঠারোটি কাজের মধ্যে কয়েকটি কাজের সামান্য কাজ করে বিল জমা দেন খোয়াই জেলা পুলিশ কার্যালয়। বিভিন্ন মারফতে এই বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায় গোটা ঘটনাটি অর্থাৎ কাজ না করে বিল জমা দেওয়ার বিষয়টি। পরবর্তীতে শুরু হয়ে যায় জেলা পুলিশের উর্দন কর্তৃপক্ষ সহ পুলিশ কর্মচারীদের দৌড়ঝাঁপ। এই গোটা ঘটনাটির রহস্য উন্মোচনের জন্য পরবর্তীতে হয় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তে কি বেরিয়ে আসলো সেটা অবশ্য এখনো বহিঃপ্রকাশ হয়নি। তবে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ এই গোটা ঘটনাটির বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রক্ষকরা যদি আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান তাহলে সাধারণ জনগণ কোথায় যাবেন। এই গোটা ঘটনাটি নিয়ে রাজ্য আরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেটাই দেখার বিষয়। তবে রাজ্য আরক্ষা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারকে কালিমা লিপ্ত করার উদ্দেশ্যেই এই প্রচেষ্টা করা হয়েছিল সেটা স্পষ্ট বোঝা গেল।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 + 5 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য