বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৩রা অক্টোবর…. বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে খোয়াই থানার অন্তর ২০৮ নং জাতীয় সড়ক চেরমা এলাকাতে নাকা চেকিং পয়েন্ট থেকে তল্লাশি চালিয়ে শুকনো গাঁজা আটক করল খোয়াই থানার পুলিশ । বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে খোয়াই মহকুমার জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন রাস্তা গুলিকে করিডর বানিয়ে অবৈধ নেশা সামগ্রী গুলি পাচার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে নেশা সাম্রাজ্যের মাস্টার মাইন্ডরা।যদিও রাজ্যের প্রতিটি জেলাতে এইরকম নাকা পয়েন্ট গড়ে তুলেছেন রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। হিসাব করলে বেরিয়ে আসবে হয়তো যে অবৈধ নেশা সামগ্রী আটক এর হিসাবে খোয়াই মহকুমাতে যে নাকা পয়েন্টগুলি রয়েছে সেগুলিতে অবৈধ নেসা সামগ্রী আটক এবং উদ্ধারের সংখ্যা রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি। এরমধ্যে বিগত প্রায় এক বছর আগে খোয়াই মহকুমা এলাকাতে অপারেশন সঞ্জীবনী নামক একটি অভিযান জারি ছিল। এই অভিযানের ফলে খোয়াই মহাকুমা এলাকার বিশেষ করে খোয়াই শহর এলাকতে ডুবে ডুবে জল খাওয়ার মত বেশ কিছু নেশা কারবারি অবৈধ নেশা বাণিজ্য করত তাদেরকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে খোয়াই মহকুমাতে এই ধরনের অভিযান করতে দেখা যাচ্ছে না। বিগত প্রায় বছর খানেক আগে অপারেশন সঞ্জীবনী চলাকালীন সময় খোয়াইয়ের অভিভাবক মহল অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছিল। কারণ মহকুমা পুলিশ অধিকারীক এবং থানার বাবুরা সংবাদ মাধ্যমের কাছে বার্তা দিয়েছিলেন যে অপারেশন সঞ্জীবনী নামক যে অভিযান আগামী দিনেও জারি থাকবে। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে সেই অভিযান এখন আর চলছে না অর্থাৎ বন্ধ হয়ে গেছে ।অন্যদিকে খোয়াই এর অভিভাবক মন্ডলী এবং বুদ্ধিজীবী মহল আশাবাদী মহকুমা পুলিশ থানার কর্মকর্তারা আগামী দিনে অপারেশন সঞ্জীবনীর কার্যক্রম পুনরায় চালু করবেন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোয়াই চেরমা এলাকাতে এক নেশা বিরোধী অভিযানে নামে পুলিশ। এই অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন ডি এস পি প্রীতম ছন্দ খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার যুগল ত্রিপুরা সহ অন্যান্য অফিসাররা গোপন খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টায় নাকা তল্লাশি চলাকালী একটি বিলাশ বহুল নম্বর বিহীন একটি সুজুকি কোম্পানির নেকছা গাড়ি থেকে মোট ৪৭ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করল খোয়াই থানার পুলিশ। সাথে আটক করা হয়েছে গাড়ির চালক রজনী দেববর্মাকে। পুলিশ নাম্বার বিহীন গাড়ি শুকনো গাঁজার প্যাকেট এবং গাড়ির চালক রজনী দেববর্মা কে আটক করেন । আসলে পুলিশ চেষ্টা করলে অবৈধ নেশা সাম্রাজ্য একেবারে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। যদিও সুশীল সমাজের নাগরিকবৃন্দরা আশাবাদী এই সমস্ত নেশা সামগ্রীর ব্যবসার মুকুটবিহীন রাজাদের পুলিশ জালে তুলতে সক্ষম হবেন আগামী দিনে ।তবে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে নেশার বাণিজ্য বেড়ে যেতে পারে বলে একশ্রেণী মহলের ধারণা ।যদি পুলিশ সজাগ না থাকে তাহলে সেই ব্যবসা পূজোতে জাকিয়ে বসবে । পুজোর ভিড়ে নেশা কারবারিরা তাদের ব্যবসা চুটিয়ে করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে । সময়ের আগে পুলিশ যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তা হীতে বিপরীত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।