Thursday, October 10, 2024
বাড়িখবররাজ্যসরকারের অন্যতম লক্ষ্য গ্রামীণ এলাকার বিকাশ - সুধাংশু

সরকারের অন্যতম লক্ষ্য গ্রামীণ এলাকার বিকাশ – সুধাংশু

বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার বিকাশ। বিকশিত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে হলে গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আজ গান্ধী জয়ন্তীতে ফটিকরায় গ্রাম পঞ্চায়েতে বিশেষ গ্রাম সভায় মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন। বিশেষ গ্রাম সভায় তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয়জল সরবরাহ, যোগাযোগ, সমাজকল্যাণ, বিদ্যুৎ পরিষেবা ক্ষেত্রের উন্নয়নে যে সমস্ত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। এই কাজে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। সরকার চাইছে সুস্থায়ী উন্নয়ন। সুস্থায়ী উন্নয়ন গড়ে তুলতে হবে গ্রাম থেকেই। মৎস্যমন্ত্রী গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতকে সহজলভ্য করে তুলতে সৌরশক্তির ব্যবহারের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, কৃষির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে গ্রাম পঞ্চায়েতকে ভিত্তি করে সুস্থায়ী কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

বিশেষ গ্রাম সভায় মৎস্যমন্ত্রী বলেন, গত ৬ বছরে ফটিকরায়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে অনেক সাফল্য এসেছে। তার সুফলও মানুষ পাচ্ছেন। খুব শীঘ্রই এখানকার ইন্দিরা কলোনী থেকে সায়েদাবাড়ির মধ্যে মনু নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এখানকার মানুষ অনেক সুবিধা পাবেন। অনুষ্ঠানে ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস বলেন, গ্রাম সভা ও গ্রাম সংসদগুলিতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উন্নয়ন কর্মসূচির কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ গ্রাম সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রভাস চন্দ্র বণিক, জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক প্রীতম ভট্টাচার্য, প্রবীণ নাগরিক করুনা দাস ও মৃদুল কান্তি দাস। উপস্থিত ছিলেন আম্বেদকর মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সুব্রত শর্মা, কুমারঘাট মহকুমার মহকুমা শাসক এন এস চাকমা, সমাজসেবী মনোজ পাল চৌধুরী ও সমাজসেবী নীলকান্ত সিনহা। বিশেষ গ্রামসভায় সভাপতিত্ব করেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিতা দত্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমারঘাট ব্লকের বিডিও ডা. সুদীপ ভৌমিক। বিশেষ গ্রাম সভা উপলক্ষে প্রশাসনিক শিবির, স্বাস্থ্য শিবির ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। তাছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের সহায়তা এবং অন্ত্যোদয় পরিবারের সদস্যদের শারদোৎসবের জন্য নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

4 × two =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য