খোয়াই প্রতিনিধি ২৪শে সেপ্টেম্বর….. বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের যুগে অনলাইনে জিনিসপত্র কেনাকাটার ক্ষেত্রে অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। কারণ অনলাইনে কোন জিনিসের অর্ডার করলে এই জিনিসপত্র গুলি ঘরে বসেই পাওয়া যায় ।খাবার-দাবারের জিনিস থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহৃত সব ধরনের জিনিস আজকাল অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে থাকেন অনেকেই। আবার এই অনলাইনে অর্ডার করে অনেকেই আবার প্রতারণা শিকার হয়েছেন । বিশেষ করে দুর্গাপূজার মরশুমে বিভিন্ন গ্রাহকরা অনলাইন থেকে অর্ডার করে জিনিস আনার ক্ষেত্রে প্রতারণা শিকার হয়ে থাকেন যা প্রায় সময়ই বিভিন্ন খবরের কাগজ প্রকাশ হতে দেখা যায় । তেমনি ভাবে অনলাইন থেকে জিনিসপত্র ক্রয় করতে গিয়ে প্রতারণা শিকার হলেন খোয়াই শহরের এক প্রসিদ্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ী নির্মল কান্তি দেব । ঘটনার বিবরণে জানা যায় নির্মল কান্তি দেব গত ১৪ই সেপ্টেম্বর নিজের দোকানের গ্রাহকদের জন্য অনলাইনে ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে ২০ টি ছোট ছোট শিবের স্ট্যাচু এবং আর ২০ টি প্লাস্টিকের কন্টেনার অর্ডার করেছিলেন মোট ৪০ টি জিনিসের অর্ডার ছিল যার জন্য তিনি ৫৮০০ টাকা আগে অনলাইনে দিয়ে দিয়েছিলেন । শেষে এই অর্ডার অনুযায়ী ফ্লিপকার্ট থেকে মঙ্গলবার বিকেলে নির্মল কান্তি দেবের দেওয়া অর্ডারের প্যাকেটগুলি ওনার দোকানে এসে হাজির হয় । এবং ফ্লিপকার্ট এর খোয়াই ব্রাঞ্চ থেকে ডেলিভারি বয়েরা নির্মল কান্তি দেবের দোকানে সেই জিনিসগুলি নিয়ে আসে । এরপর নির্মল শান্তি দেব ফ্লিপকার্ট থেকে আসা দুটি প্যাকেট খুললে উনার চোখ চরকগাছ হয়ে যায় এক কথায় মাথায় বাজ পড়ার উপক্রম । কারণ নির্মল কান্তি দেব প্যাকেটগুলি খুলে দেখতে পান ওই প্যাকেটে তো ওনার অর্ডার করা কোন জিনিসপত্র নেই। অর্ডার করা সেই জিনিসের জায়গায় রাখা হয়েছে একটি পুরনো জলের বোতল অন্য আরেকটি ছোট প্যাকেটে একটি পিচবোর্ডের অংশ যা দেখে নির্মল কান্তি দেব বেজায় চটে যায় সেই ফ্লিপকার্ট কোম্পানির উপর । এক কথায় ওনার ৫৮০০ টাকা অনলাইনে ব্যবসার নামে ফ্লিপকার্ট কোম্পানি টাকা গুলি গায়েব করে দেয়। এই ঘটনা খোয়াই শহরে আগুনের মতন ছড়িয়ে পড়ে তাতে করে অনেক গ্রাহকদের চোখ কপালে ওঠে ।কারণ দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রত্যেকের ঘরের মা বোনেরা অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটি করেন যা ঘরে বসেই পেয়ে যান ।সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ফ্লিপকার্ট এর মতন অনলাইন ব্যবসায়ীরা যদি সাধারণ গ্রাহকদের সাথে এইভাবে প্রতারণা করতে থাকে তাহলে অনলাইনের বিশ্বস্ততার প্রশ্ন উঠছে । অন্যদিকে বুদ্ধিজীবী মহলের বক্তব্য অনলাইনের মাধ্যমে এই ধরনের প্রতারণা সংস্থাগুলি থেকে কোন জিনিসই যাতে অর্ডার না করে সাধারণ জনগণ তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করেন। অন্যদিকে অনলাইনের ব্যবসার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে ।