তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :-
প্রশাসন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র! এক্সেস ডিপার্টমেন্ট নগদ নারায়ন পেয়ে নিশ্চুপ! তাই প্রশাসনিক বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ড্রাই ডে’তেও খোলা মদের দোকান। ঘটনা, তেলিয়ামুড়ার করুইলং স্থিত তুইচিন্দ্রাই বিলেতি মদের দোকানে।
সংবাদে প্রকাশ, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দিন বিশ্বকর্মা পূজো থাকাতে প্রশাসনিক ভাবে মদের দোকান বন্ধ রাখার নিষেধ জারি করা হলেও তেলিয়ামুড়ার তুইচিন্দ্রাই বিলেতি মদের দোকানে অবৈধভাবে গোটা দিন ব্যাপী লক্ষ লক্ষ টাকার বিলিতি মদ অবৈধ পন্থায় বিক্রি করে এই তুইচিন্দ্রাই বিলেতি মদের দোকান। এই অভিযোগ পেয়ে বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে যখন স্থানীয় সাংবাদিকরা ক্রেতা সেজে ওই দোকানে গিয়ে তাদেরকে মদ দেওয়ার কথা বলে তখনই টাকার বিনিময়ে তখন তারা মদের দোকানের দরজায় থাকা একটি গোপন চেম্বার দিয়ে মদ দিয়ে দেয় এবং গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকরা এসেছে এই ঘটনা আঁচ করতে পেরে ওই দোকানে থাকা কর্মচারী মনিস সাহা দোকানের পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে মদের দোকান ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই তুইচিন্দ্রাই বিলেতি মদের দোকানটি নগদ নারায়ন দিয়ে ম্যানেজার মাধ্যমে তুইচিন্দ্রাই এলাকায় না বসিয়ে করুইলং এলাকায় এনে বসিয়ে দেদার ভাবে অবৈধ পন্থায় মদ বিক্রি করে টাকা রোজগার করছে। শুধু এটাই নয়, করুইলং এলাকার যে জায়গায় এই মদের দোকানটি বসানো হয়েছে দোকানটি থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে রয়েছে তিনটি বিদ্যালয়। স্থানীয়দের মধ্য থেকে ইতিমধ্যেই দাবি উঠছে যে এই মদের দোকানটি থাকার ফলে বিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের বিপথে পরিচালনা করতে পারে। এখন এটাই দেখার বিষয়, প্রশাসন এই মদের দোকান থেকে বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যদি এই সংবাদ প্রকাশের পরেও প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে তাহলে আগামী দিন ধারাবাহিক ভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হবে। অন্যদিকে বিশ্বকর্মা পূজোর রাতের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।।