খোয়াই প্রতিনিধি ১২ই সেপ্টেম্বর……এক সাংবাদিকের প্রচেষ্টায় ও খোয়াই মহিলা থানার উদ্যোগে খোয়াই সুভাষ পার্ক কালিবাড়ী এলাকার এক ভার সাম্যহীন মহিলাকে আগরতলার নরসিংগড় স্থিত মেন্টাল হসপিটালে পাঠানো হয় । খোয়াই সুভাষ পার্ক কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রাজেন্দ্র দেবনাথ এর দ্বিতীয় মেয়ে রুমা দেবনাথ ৪৫ গত ১৩ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্য হীনতায় ভুগছিলেন। যদিও রুমা দেবনাথ এর পিতা রাজেন্দ্র দেবনাথ মেয়েকে জীব হাসপাতালে নিয়ে বহুবার চিকিৎসা করিয়েছে কিন্তু পয়সার অভাবে সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে পারেনি । যার ফলে রুমা দেবনাথ প্রায় সময়ই মানসিক ভারসাম্যহীন হারিয়ে এলাকাবাসী কে প্রচন্ড যন্ত্রণা করত এবং বিবস্ত্র হয়ে ঘোরাফেরা করতো । শেষে রাজেন্দ্র দেবনাথ কোন পথ দেখতে না পেয়ে সাংবাদিকের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং সাংবাদিক ও গুরুতর বিষয়টিকে নিয়ে উনাকে সাহায্য করবে বলে কথা দেন এবং বিষয়টি নিজে তদারকি করে সমস্ত ব্যবস্থা করে দেন শেষের সাংবাদিক মানসিক ভারসাম্যহীন রুমা দেবনাথ এর পিতা রাজেন্দ্র দেবনাথ এর কাছ থেকে সমস্ত বিষয়টি শুনেন । এই বিষয়ে রাজেন্দ্র দেবনাথ সাংবাদিককে জানান আজ থেকে প্রায় ২২ বছর আগে খোয়াই চর গনকি এলাকার বাসিন্দা দিলীপ দেবনাদের সাথে বিয়ে হয় উনার দ্বিতীয় মেয়ে রুমা দেবনাথ এর। বর্তমানে রুমা দেবনাথ এর ২১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে । ২০১০ সালে রুমা দেবনাথ এর স্বামী লুকিয়ে আরেকটা বিয়ে করে ফেলে যাকে কেন্দ্র করে খোয়াই সুভ পার্ক কালিবারি স্থিত এভারগ্রিন ক্লাবে এই বিষয়টি কে কেন্দ্র করে বিচার ডাকা হলেও রুমাদ দেবনাথ এর স্বামী দিলপ দেবনাথ সেই বিচারের কোন পাত্তা দেয়নি কেন প্রথমা থাকতে দ্বিতীয় বিয়ে করল । এরপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুমা দেবনাথ মানসিক যন্ত্রণার কারনে অবশেষে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে বলে জানান উনার পিতা রাজেন্দ্র দেবনাথ । অভাব অনটনের সংসারে মেয়ের চিকিৎসা সঠিকভাবে না করতে পারার কারণে দিন দিন রুমা দেবনাথ এর মানসিক রোগটা বাড়তে থাকে । শেষে এই ঘটনা শুনে সাংবাদিক খোয়াই মহিলা থানার সাথে যোগাযোগ করেলে মহিলা থানার উদ্যোগে থানার সাব ইন্সপেক্টর চম্পা দাসকে বিষয়টি তত্ত্বাবধান করার করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই অনুসারে সাব ইন্সপেক্টর চম্পা দাসের সহযোগিতায় রুমা দেবনাথকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে আদালত থেক সমস্ত আইনত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার বিকেলে মানসিক ভারসাম্যহীন রুমা দেবনাথ কে আগরতলা নরসিংগড় স্থিত মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।