বাসুদেব ভট্টাচার্জি খোয়াই ৩রা সেপ্টেম্বর……. মঙ্গলবার খোয়াই জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে বেলা বারোটায় পূর্ব ত্রিপুরা আসনের সংসদ কৃতি সিং দেববর্মনের উপস্থিতিতে খোয়াই জেলা ভিত্তিক রেভিনিউ মিটিং এর আয়োজন করা । উক্ত মিটিংএ সংসদ কৃতি সিং দেববর্মন ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক চাঁদনী চন্দন মহকুমা শাসক মেঘা জৈন, টি টি এডি সি র এক্সিকিউটিভ মেম্বার সোহেল দেববর্মা , খোয়াই মহাকুমা অন্তর্গত তিনটি ব্লকের আধিকারিক স্বাস্থ্য ,পানীয় জল , অগ্নি নির্বাপক দপ্তর সহ ২১ টি দপ্তরের আধিকারিক সহ বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা এই দিন রিভিউ মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন । এই দিন মিটিং এর মূল উদ্দেশ্য ছিল গত কিছুদিন আগে সম্প্রীতি হয়ে যাওয়া খোয়াই জেলার বন্যা পরিস্থিতি উপরই যে আলোচনা হয় এই দিন রিভিউ মিটিং তাই উঠে আসে সংসদ কৃতি সিং দেববর্মণ এর কথায় । রিভিউ মিটিং সেরে ফিরে যাবার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংসদ শ্রীমতি দেববর্মন বলেন বিশেষ করে এই মিটিং এর আয়োজন করা হয়েছে কিছুদিন আগে খোয়াই জেলাতে ব্যাপক বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছ তাকে কেন্দ্র করেই। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করেছেন সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের সমস্ত দপ্তরের আধিকারিক ও লাইন ডিপার্টমেন্ট দের নিয়ে এক রিভিউ মিটিং এর আয়োজন করা হয় । এবং প্রত্যেকের সাথে এই বিষয়ে সেই পরিস্থিত বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয় । এই ধরনের পরিস্থিতির শিকার যাতে আগামী দিন না হতে হয় এর জন্য কি ধরনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েছেন এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কি ধরনের কাজকর্ম করা হবে বা হয়েছে সেই বিষয়গুলি অনুধাবন করেন বা অবগত হন।যাতে করে আগামী দিন এই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হতে না হয় সবাইকে ।এবং এই বন্যা পরিস্থিতিতে খোয়াই জেলা শাসক সহ উনার প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা বন্যার সময় যেভাবে জেলা প্রশাসনকে সাহায্য এবং সহযোগিতা করেছে বন্যায় কবলিত মানুষদের সাহায্যে এবং উদ্ধার কার্যে বিভিন্নভাবে হাত লাগিয়ে এর জন্য তিনি জেলাশাসক চাঁদনী চন্দন এবং ওনার টিমকে এই কাজের জন্য সাধুবাদ জানান । এই ধরনের বিপদজনক পরিস্থিতিতে জেলাশাসক এবং ওনার টিম যে ধরনের সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে কাজ করেছেন সত্যি সেটা প্রশংসার যোগ্য এছাড়া তিনি বলেন বিভিন্ন ধরনের ক্ষয় ক্ষতি হিসাব তিনি জেনে গেছেন এবং কি পরিমাণে ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বন্যার ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কৃষকরা তা তিনি এই রিভিউ মিটিংয়ে অনুধাবন করতে পেরেছেন ।আর এই ধরনের বন্যা পরিস্থিতিতে খোয়াই জেলা শাসক কে আন্তরিকভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য সমস্ত খোয়াই জেলা বাসিকে শুভেচ্ছা জানান সাংসদ শ্রীমতি দেববর্মন । এরপর তিনি বিভিন্ন মহকুমা ও জেলাতে গিয়ে জেলাশাসক এবং মহাকুমা শাসকদের সাথে এই ধরনের মিটিং করবেন বলে জানান। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করা যায় যে খোয়াই জেলাতে এত বড় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সবাই একটা সময খুবই ব্যস্ত ছিল । অন্যদিকে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে জেলার বিধায়ক ও মন্ত্রীরাও মাঠে নেমে কাজ করেছেন তাতে কি ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে সেটা তারাই জানেন ।কিন্তু এই রিভিউ মিটিং জেলার কোন বিধায়ক বা মন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। এমনকি বন্যা পরিস্থিতিতে তারা কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সেই বিষয়টা কৃতি সিং দেববর্মন জানতে পারলেন না। এখানে একটা প্রশ্ন উপস্থিত সবার মনে উঠছে যে জেলাতে এত বড় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং একে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গার এবং এলাকার বিধায়করা কাজ করেছেন নিজ নিজ এলাকাতে। তাদের অভিজ্ঞতা কি ছিল সেই ভয়ানক পরিস্থিতিতে কাজ করতে গিতে তার ব্যাখ্যাটা অন্তরালেই রয়ে গেল কোন বিধায়ক বা মন্ত্রীরা না আসার কারণে তবে কি তাদেরকে এই রিভিউ মিটিংয়ে আমন্ত্রন বা নিমন্ত্রণ যে কোনো টাই করা হয়নি তা স্পষ্ট বোঝা যায় কারণ এই মিটিং এ কেউই উপস্থিত ছিলেন না। না ছিলেন বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস না ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী না, ছিলেন মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা , না ছিলেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক শ্রীমতি কল্যাণী রায়। যেখানে জেলা ভিত্তিক রিভিউ মিটিংয়ের মূল বিষয়বস্তু ছিল জেলার বন্যা পরিস্থিতি সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা করার জন্য একজন ও বিধায়কের উপস্থিতি না থাকার কারণ তা কিছুই প্রকাশ করো না । এর জন্য অনেক প্রশ্নই উঁকি মারছে ওরা কি নিমন্ত্রিত হন নি, না মিটিং বয়কট করেছেন সেই প্রশ্নটা উকি মারছে । এছাড়া বিভিন্ন মহলে কিছু গুঞ্জন রয়েছে রাজ্যে তথা পূর্ব ত্রিপুরা আসনের অন্তর্গত বিভিন্ন নিম্ন এলাকাগুলির জনগণ যখন বন্যায় কবলিত ছিল পূর্ব ত্রিপুরা আসনের নির্বাচিত সংসদের দেখা কিন্তু মিলে নি। বুদ্ধিজীবী মহলের ধারণা হয়তোবা এই কারণে খোয়াই জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন বিধানসভার বিধায়কদের আজকের জেলাভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি ।যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে এই মিটিং এ বিভিন্ন বিধায়ক ও মন্ত্রীদের অনুপস্থিতটা কিন্তু প্রশাসনের জন্য একটা ব্যর্থতা বলে মনে করছেন অনেকেই ।