বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৯শে আগস্ট….. খোয়াই সুভাষ পার্ক কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সমরঞ্জন শীলের বসত বাড়িটি এভার গ্রিন ক্লাবের পুকুরে তলিয়ে যায় মত মঙ্গল রাতে। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সমরঞ্জন শীল সমস্ত বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের কাছে তুলে ধরে এবং উনার বসত ঘর তলিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকার এভার গ্রীন ক্লাবের কর্মকর্তাদের উপর দোষারোপ করেন । যে বার বার বলা সত্ত্বেও সমরঞ্জন শীলের বাড়ির পেছনে পাকা বাউন্ডারি ওয়াল তুলে দেয়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ । এই বিষয়টি কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র এবং বৈদ্যুতিন চ্যানেলে খবরটি প্রকাশ হয় ।এর পরই নড়েচড়ে বসে এভার গ্রীন ক্লাবের সমস্ত কর্মকর্তারা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে এভার গ্রীন ক্লাবের বিরুদ্ধে হওয়ার নিউজ এবং পুকুরের জলে বসতঘর তলিয়ে যাওয়ার ঘটনার পষ্টিকরণ দিতে এই দিন দুপুরে তাদের ক্লাব গৃহে এক প্রেস মিট এর আয়োজন করা হয় । উক্ত প্রেসমিটে উপস্থিত ছিলেন এভার গ্রীন ক্লাব এর সম্পাদক সুব্রত বণিক সভাপতি সমরজিৎ দত্ত ক্লাব সদস্যা স্বরূপা দত্ত ,বিধান দেব সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা । বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে এভার গ্রীন ক্লাবের সমস্ত কর্মকর্তারা প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করে যে তাদের পুকুরের পশ্চিম পারে অবস্থিত সমরঞ্জন শীলের বসত ঘরটি মঙ্গলবার রাতে তাদের পুকুরে তলিয়ে যাবার কারণে যা একটি অবাঞ্চিত ঘটনা ।তারা দুঃখ প্রকাশ করতে গিয়েও বলেন সমরঞ্জন শীল একজন হতদরিদ্র মানুষ তাদের সাথে এই ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এই বিষয়ে সম্পাদক সুব্রত বণিক সংবাদ মাধ্যমকে স্পষ্টিকরণ দিতে গিয়ে বলেন যে তাদের ক্লাবের পুকুর পাড়টি যখন পাকা পাকি ভাব সিমেন্ট দিয়ে পিলারের মাধ্যমে পুকুরের পারটি বাধানোর কাজ চলছিল এবং সমরঞ্জন শীলের বাড়ির পেছনদিকেও পাকা পাকি ভাবে দেওয়াল তোরীর জন্য বলা হয় তখন সমরঞ্জন শীল ও উনার ভাইয়েরা নাকি সেই কথাই রাজি হয়নি এমনকি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে তাদের ঘরের পেছনে পাকা ওয়াল গড়ে তুলতে দেয়নি । এই বিষয়টি কি কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও নাকি ক্লাবকে সমর্থন করে সমঞ্জন শীলকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে তাতে তাদেরই ভালো হবে। কিন্তু ভাইদের যুক্তিতে তাদের ঘরের পেছনে পাকা বাউন্ডারি দেওয়া সম্ভব হয়নি । এরপর পঞ্চায়েত থেকে একটি বাসের হানা দেওয়া হয়েছিল যা ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে তাদের ঘরের এই বিপত্তি । এখানে ক্লাব কর্তৃপক্ষরা বারবার একটা কথাই বলছেন তাদের ভুলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে । সমরঞ্জন শীলের বুদ্ধিমত্তার অভাবের কারণে আজ তারা ভুক্তভোগী । ওই সময় যদি তারা বাধা-প্রদান না করত তাহলে তাদের ঘরের পেছনে পাকা বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি হয়ে যেত তাতে তাদেরও ভালো হতো । এবং ক্লাবের পুকুরটিও পাকা ওয়াল দ্বারা বেষ্টিত হয়েযেত সারা জীবনের জন্য ।সম্পাদক সুব্রত বণিক এও বলেন তাদের এত ক্ষমতা নেই যে ২০-২৫ লাখ টাকা খরচ করে সেই বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করে দেওয়া পাকাপাকিভাবে কারণ তাদের ক্লাবের মন্দিরের ঠাকুরের রান্নাঘরের একটি অংশ পুকুর পাড়ে চলে যাচ্ছে সেটাই সাড়াই করার জন্য তাদের কাছে টাকা পয়সা নেই ।সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এত বড় কাজ ক্লাবের পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয় । এছাড়া পঞ্চায়েত কে জানানো হয়েছে আর পঞ্চায়েতের পক্ষেও একজন ব্যক্তির জন্য এত টাকা খরচ করবে কিনা সন্দেহ আছে। অবশেষ ক্লাব সম্পাদক সুব্রত বণিক তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এও বলেন তাদের কোন সাহায্য লাগলে আমরা ক্লাব কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই যাবো তাতে কোন দ্বিধা নেই । কিন্তু ক্লাবের কারণে পুকুরে তাদের বসত ঘর তলিয়ে যায় সেটা সত্য নয় যা হয়েছে ওদের কারণে ।কারণ বার বার বলা হয়েছে পুকুর পারে যাতে ঘর তোলা না হয় তাতে ঘরটি বেশিদিন থাকবে না আর তেমনি হয়েছে । অথচ এই পুকুরটি বহু পড়ানো আর সমরঞ্জন শীল পুকুর পাড়ে ঘর তৈরি করেছে মাত্র ১০ থেকে ১২ বছর আগে । সুতরাং তাদের ঘর পুকুরের জলে তলিয়ে যাবার জন্য এভার গ্রীন ক্লাব বা ক্লাবের কোন সদস্যই দায়ী নয় সবটা দায়ভার সমরঞ্জন শীলের বলে স্পষ্টিকরন দেন ক্লাব সম্পাদক সুব্রত বণিক ।