খোয়াই প্রতিনিধি ১৮ই আগস্ট ..,…. রবিবার সকালে খোয়াই থানাধীন পশ্চিম সোনাতলা এলাকার জামিরা গ্রামের ৫ন ওয়ার্ডে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একটি গাভীর মৃত্যু হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ওই এলাকার বাসিন্দা প্রবীর দেব পেশায় একজন হতদরিদ্র কৃষক তিনি রবিবার সকালে প্রতিদিনের মতো ওনার গরুটিকে চরাতে বেরিয়ে পরেন মাঠের উদ্দেশ্যে । কিছুটা দূর যাওয়ার পর একেবারে রাস্তার পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সামনে আসতেই শর্ট-সার্কিট এর ফলে ওনার হাতে থাকা গরুটি ক্রমশই বিদ্যুতের খুঁটির সামনে চলে যায় এবং দেখতে দেখতে ওনার চোখের সামনেই প্রাণ যায় তার প্রিয় গাভীটির। সে গাভিটি কে বাঁচাতে গেলে গাভীর মালিক ও অল্পবিস্তর বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়। মৃত এই গাভিটির দুধ বিক্রি করে উনার পরিবারের উপার্জন হতো বলে তিনি জানায়। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে গাভিটির মৃত্যু হওয়াতে তাদের সংসার কিভাবে প্রতিপালন হবে সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন । ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথেই খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরে বারবার ফোন করার পরেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি বলে প্রবীর বাবুর অভিযোগ। খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তর যদি ঠিক সময়ে ফোনটি রিসিভ করে দপ্তরের কর্মীরা ছুটে আসত তাহলে হয়তো বা গাভিটিকে বাঁচানো যেত বলে উনার অভিয়োগ । পরবর্তী সময়ে খোয়াই থানাতে বিষয়টি জানানো হলে, থানার নির্দেশ মোতাবেক বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা এসে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে লাইন ছিন্ন করে । ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার পর দুই তিন ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার ফলে গাভি টির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রবীর বাবুর অভিযোগ। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় এলাকাবাসীরা একত্রিত হয়ে খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরের উপর খোব উগরে দেয়। তাদের অভিযোগ পশ্চিম সোনাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জামিরা এলাকাতে প্রতিটি খুঁটি বহু পুরনো ফলে জং ধরে একপ্রকার নষ্ট হয়ে বিপদজনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় খুঁটি পড়ে গিয়ে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কিন্তু খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরকে বারবার ঘটনাটি জানালেও বিদ্যুৎ দপ্তরের কেউই বিষয়টিতে কর্ণপাত করেনি। ফলে আজ এই দূরঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে । বিদ্যুৎ দপ্তরের খামখেয়ালী মনোভাবের দরুন আগামী দিনে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা হবে তা বলার অপেক্ষায় রাখে না। তাই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে অতি দ্রুত নজর দিক খোয়াই বিদ্যুৎ নিগম না হলে নিগমকে একদিন জনরোসের সম্মুখীন হতে হবে ।