বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৬ই আগস্ট……স্বাধীনতার চেতনা সবচেয়ে বেশি স্পন্দিত করেছে কবিতা শিল্পকে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় স্বাধীনতার চেতনা ব্যাপক আকারে উদ্ভাসিত। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে লেখক, কবি, সাহিত্যিকদের বিরাট ভূমিকা ছিল। পরাধীন ভারতবর্ষে বৃটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগুন জ্বেলেছিল লেখক ও কবিরা।এই ভাবনাকে সামনে রেখে খোয়াই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত হল খোয়াই জেলা লিটল ম্যাগাজিন ফোরামের সার্বিক সহযোগিতা ও ব্যবস্থাপনায় ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্ -সন্ধ্যায় খোয়াই জেলা গ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত হয় বহুভাষিক কবি-সন্মেলন ও আলোচনা চক্র। গত ১৪ অগাষ্ট ২০২৪ইং বুধবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে খোয়াই জেলা গ্রন্থাগারে বহুভাষিক কবি সন্মেলন ও আলোচনা চক্রের শুভ উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা বিধানসভার মাননীয় মূখ্য সচেতক শ্রীমতি কল্যানী রায় মহোদয়া। এই দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার মাননীয় বিধায়ক শ্রী পিনাকী দাস চৌধুরী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই পুর পরিষদের মাননীয় কাউন্সিলর তথা খোয়াই জেলা সাংস্কৃতিক উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য শ্রী পীযূষ কান্তি চৌধুরী, সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই মহকুমা শাসক শ্রীমতি মেঘা জৈন মহোদয়া। এর পর স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতিকৃতিতে ফুল,মালা ও পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপস্থিত অতিথিসহ কবি,শিল্পী, সাহিত্যিক সুধীজনেরা। “ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা,””ভয় কি মরনে রাখিতে সন্তানে ” পর পর দুটি দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে উদ্বোধনি অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন খোয়াই জেলা লিটল ম্যাগাজিন ফোরামের শিল্পীবৃন্দরা। তারপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন খোয়াই জেলা লিটল ম্যাগাজিন ফোরামের সম্পাদক জহরলাল দাস এর পর একে একে চলতে থাকে কবিতা পাঠ ও আলোচনা এর ফাঁকে ফাঁকে দেশাত্মবোধক সঙ্গীতসহযোগে নৃত্য। কথায়, কবিতায়, নৃত্যে এক জমজমাট অনুষ্ঠানের সাক্ষী ছিল স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্ -সন্ধ্যাটি। উদ্বোধক মাননীয় কল্যানী রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে এই ধরনের অভিনব বহুভাষিক কবি সন্মেলন ও আলোচনা চক্রের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কবিদের দেশমাতৃকার সেবায় আরো বেশি আত্মনিয়োগ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনা করেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী এবং খোয়াই পুর পরিষদের মাননীয় কাউন্সিলর তথা খোয়াই সাংস্কৃতিক উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য শ্রী পীযূষ কান্তি চৌধুরী। অনুষ্ঠানে খোয়াই জেলার নবীন প্রবীণ মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন কব তাদের কবিতা পাঠ করেন। এই বহুভাষিক কবি সন্মেলনে খোয়াই জেলা প্রশাসনের দুই শীর্ষ আধিকারিক যথাক্রমে খোয়াই মহকুমা শাসক শ্রীমতি মেঘা জৈন ও খোয়াই আরক্ষা প্রশাসনের ডি. এস. পি প্রসেনজিৎ রায়ের কবিতা পাঠ অন্যমাত্র নিয়ে যায় অনুষ্ঠানটিকে । প্রশাসক পরিচয়ের চেয়ে কবি পরিচয়েই উনারা এই দিন নিজেদের পরিচিত করে। শেষে উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি খোয়াই জেলা লিটল ম্যাগাজিন ফোরামের সভাপতি শ্রী মনোরঞ্জন গোপ মহোদয়ের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ঐ দিন।