তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ—
মন্ত্রীর বিকাশের নির্বাচনী কেন্দ্রে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর ঠান্ডা লড়াই এবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রূপ নেওয়ার আশঙ্কা! মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার নির্বাচনী কেন্দ্র অর্থাৎ ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক বিজেপির দুই গোষ্ঠীর প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব’কে ঘিরে ছিঃ ছিঃ রব জনমনে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ঐক্যতা তৈরিতে ব্যার্থ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। এলাকার একটি বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, এলাকার বিজেপি কর্মীদের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সুপার-ফ্লপ মন্ত্রী বাহাদুর।
উল্লেখ্য থাকে,, মঙ্গলবার সকালে ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কৃষ্ণপুর এলাকায় বিজেপি দলের প্রাক্তন শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ অমর চাঁন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এবার রাস্তার ইট চুরির অভিযোগে তুললেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলীয় মেম্বারের নেতৃত্বে একদল বিজেপি কর্মী। অন্যদিকে, বিজেপি দলের প্রাক্তন শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ অমর চাঁন বিশ্বাসের পাল্টা অভিযোগ,, বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটির সম্পাদক নির্মল সরকার নাকি জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত ড্রেনের টাকায় নিজের বাড়ির সাইড ওয়াল নির্মাণ করে সরকারি অর্থ গিলে খেয়েছে এবং উনার আরও অভিযোগ,,, ২০১৮ সালের রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন হওয়ার আগে বর্তমান বিজেপি খোয়াই জেলা সম্পাদক নির্মল সরকার নাকি দৈনিক হাজিরার কাজ করতেন, কিন্তু বিজেপি সরকার গঠন হওয়ার পর অর্থনৈতিকভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন নির্মল বাবু। এই ধরনের আরও একাধিক অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের ভিডিও ফুটেজ দেখে আপনারাই বিচার করুন কাদের হাতে তুলে দিলেন কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব কৃষ্ণপুর বিধানসভার গণদেবতা’রা।
(BYTE)
মঙ্গলবার সাতসকালে বিজেপি দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের ঘটনায় আবারও এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে, মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভার জন্য একজন চূড়ান্ত ব্যার্থ বিধায়ক।
কৃষ্ণপুরের শাসক দলের একটি সূত্রের খবর,, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের এই ঘটনা গুলির পেছনে অপ্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে কৃষ্ণপুর বিধানসভার একাংশ মন্ডল এবং জেলা স্তরের নেতৃত্ব’রা।
২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একের পর এক এই ধরনের শাসক দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসার পর কৃষ্ণপুরের সুপার-ফ্লপ বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা’কে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়াটা কতটা শোভা জনক এ নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল জুড়ে চলছে চাপা গুঞ্জন।।