খোয়াই প্রতিনিধি ২১ শে মে…..চরক মেলা হিন্দু বাঙ্গালীদের এক ঐতিহ্যপূর্ণমেলা, এই ঐতিহ্যবাহী পুণ্য মেলা এবং গাজন গ্রামীণ সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য একদল মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই আধুনিক যুগেও। আর আরেক দল স্বার্থানশি মানুষ অবৈধভাবে নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য ঝান্ডি মুন্ডার মত জুয়ার আসর বসিয়ে সাধারণ জনগণের পকেট কাটার প্রতিযোগিতাতে ব্যস্ত। খোয়াই মহকুমা জুড়ে তৎকালীন সময়ে হাতে গনা কয়েকটি চড়ক মেলা অর্থাৎ বৈশাখী মেলা হয়ে থাকলেও বর্তমানে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠার মত বিভিন্ন এলাকাতে চড়ক মেলার আয়োজন করা হয়। এক একটি গ্রামে চারটি পাঁচটি করে মেলার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন এলাকা গুলিতে নিত্যনতুন চড়ক মেলা গুলিতে ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতি যতটুকু তার থেকে অধিকাংশে উপস্থিত থাকে জুয়া কারবারি রা। যদিও সবটুকু জুয়া কারবারিদের উদ্দেশ্য সফল্যমন্ডিত করে তোলার জন্য হয়, এমনটা নয়। কান পাতলেই শুনা যায় জুয়া কারবারিদের কাছ থেকে মেলা কমিটির প্রণামির বাক্সে বেশ ভালো অংকের প্রণামী জমা পরে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যার কারনে পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকটাই বেগ পেতে হয়। এই চড়ক মেলা কে কেন্দ্র করে খোয়াই মহকুমা এলাকার থানার পুলিশের বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে যদিও বেশ কয়েক দল জুয়া কারবারীদের জুয়ার সামগ্রী ও জুয়ারীদের জালে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এমনিতেই সংস্কৃতির শহর খোয়াইতে অবৈধ নেশা সামগ্রী আস্ফালন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পুলিশ বাবুর আপ্রাণ চেষ্টা করেও নেশা সামগ্রীর রমরমা রোধ করা যাচ্ছে না। তার উপর জুয়া ও ঝান্ডি মুন্ড া যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন প্রজন্ম এই সমস্ত জুয়া ও অবৈধ নেশা সামগ্রী কবলে পড়ে তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের পথে। খোয়াই শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের আহ্বান অতি দ্রুত এই সমস্ত জুয়া ও নেশা সামগ্রী আস্ফালন বৃদ্ধি রোধ করতে পুলিশ আরো সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন।
বাসুদেব ভট্টাচার্য খোয়াই।