Friday, October 18, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদঅল ত্রিপুরা বুক সেলার্স এন্ড পাবলিশার্স এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন পুস্তক...

অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স এন্ড পাবলিশার্স এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন পুস্তক বিক্রেতাদের হাতে নবম দশম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য বই তুলে দেওয়া হয়।

খোয়াই প্রতিনিধি ৫ ই এপ্রিল……অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স এন্ড পাবলিশার্স এসোসিয়েশন খোয়াই বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকে শুক্রবার সকালে খোয়াই সুভাষ পার্ক স্থিত পুস্তকালর এর সামনে এস সি ই আর টি অনুমোদিত নবম দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর টেক্সট বইগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য খোয়াই বিভাগের সমস্ত পুস্তক ব্যবসায়ীদের হাতে বইগুলো তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই সংগঠনের সম্পাদক সুব্রত বণিক এছাড়া শ্রী বনিক এও জানান সারা রাজ্যে তাদের সদস্য সংখ্যা ১৩০০ জন রয়েছে ।তিনি এও জানান এই বই গুলি সংগ্রহ করা হয়েছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য জেলা শিক্ষা দপ্তর থেকে এবং নবম ও দশমের শ্রেণীর জন্য বইগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে আগরতলা স্থিত এস সি ই আর টির সদর দপ্তর থেকে।এর জন্যআক্রান্ত পরিশ্রম করেন তাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী। একটা সময় ছিল এই বইগুলি বিক্রির ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের বিজেপি সরকার আসার পর তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ বই বিক্রির বিষয়টি শিক্ষা দপ্তরের হাতে সেই ক্ষমতা নিয়ে গিয়েছিলেন।তাতে করার রাজ্যের সমস্ত পুস্তক বিক্রেতারা সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন।এর থেকে নিজাদ পাওয়ার জন্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এর কাছে কয়েকশ বার আবেদন করা হয়েছিল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যাতে করে পুস্তক বিক্রয়াদের পেটে লাথি না মারা হয় কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সেই বিষয়টায় নিয়ে তেমন কিছু মাথা ঘামান নি কারণ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন রতন লাল নাথ হয়তো সেই কারণেই।আর তাতে করে শিক্ষা দপ্তর থেকে যখন বিভিন্ন ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের বইগুলো আনতে যেত অভিভাবকরা তখন সম্পূর্ণ পুস্তকের সেট গুলি কিনে আনতে হতো আর তাতে করে বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষরা তা করতে পারত না।কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই সুযোগটা পুস্তক বিক্রেতাদের কাছে দেওয়ার ফলে যে কোন অভিভাবক ওনার সাধ্যমত একটি একটি করে বই কিনতে পারে যেটা শিক্ষা দপ্তর থেকে কিনতে গেলে সম্ভবহতনা সমস্ত টাকা একেবারে শোধ করে দিলেই বইগুলি পেত।তাতে করে তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী সমস্ত সিলেবাসও বদল করে ফেলেছিলেন কিন্তু শেষে দেখা গেছে যে সিলেবাস গুলি বদল করা হয়েছিল সেই সিলেবাসের অর্থাৎ বইগুলির উপরের অংশের ফ্রন্ট পেইজ কভারটির পরিবর্তন হয়েছে তাছাড়া বইয়ের ভিতরে সমস্ত লেখা দাড়ি কমা সবই ঠিক ছিল। এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে আসল ঘটনাটা কি ঘটেছিল তখন যা বলার অপেক্ষা রাখেনা।আর তাতে করে শিক্ষামন্ত্রীর কারণে সমস্ত শিক্ষা দপ্তরটি ব্যবসায়ীতে পরিণত হয়েছিল তারা বই বিক্রির জন্য সবসময় ব্যস্ত থাকতো অন্যদিকে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোন নজর দিত না বলে অভিযোগ করেন এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা আর তাতে করে গত পাঁচ বছর ধরে পুস্তক ব্যবসায়ীদের মাথায় বাজ পড়ে ।শেষে পুস্তক ব্যবসায়ীদের এই বিষয়টিকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার সাথে কথা বললে উনি তাদের কথা শুনে বলেন বই বিক্রির কাজ একমাত্র পুস্তক ব্যবসায়ীদের সেখানে শিক্ষা দপ্তর পুস্তক বিক্রি করবেনা পুস্তক ব্যবসায়ীদের পুস্তক ব্যবসা ওদের কেই করতে দিতে হবে।এরপর উনার তত্ত্বাবধানে সমস্ত পুস্তক ব্যবসায়ীরা তাদের সেই পুস্তক ব্যবসাটি ফিরে পাবার আবেদন করে এবং মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার কাছে। তাদের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদের ব্যবসাটি তাদের হাতে তুলেদেবার সিদ্ধান্ত করেন ওপেন ড্যান্ডারের মাধ্যমে। এই টেন্ডারের মাধ্যমে বই বিক্রির বরাত পেয়ে যায় অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন। এর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা ও রাজ্য সরকারকে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান এসোসিয়েশনের খোয়াই বিভাগের সম্পাদক সুব্রত বনিক।এই দিন পুস্তক বিলিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের খেয়াই বিভাগের সম্পাদক সুব্রত বণিক,এই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান বিজনেন্দু চক্রবর্তী ও মৃনাল নাথ শর্মা অন্যান্যরা

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

13 − 4 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য