খোয়াই প্রতিনিধি ১৯শে অক্টোবর…..অবশেষে পিতৃ পক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হল মহালয়ার দিন।এর সাথে সাথে বাঙালির মনে জেগে উঠছে যে মর্তলোকে মায়ের আগমন ঘনিয়ে আসছে। আর এই বার্তাটির জন্যই প্রত্যেকের মন উৎফলিত হয়ে উঠে। তাই মায়ের আগমন কে কেন্দ্র করে আগমনীর অনুষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। সেই সংস্কৃতিকে ধরে রাখার স্বার্থে খোয়াইয়ের কালচারাল সেল এর উদ্যোগে আগমনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় খোয়াই নতুন টাউনহলে বুধবার সন্ধ্যায়। এই দিন সন্ধ্যা ছয়টায় অনুষ্ঠানের পারাম্ভ হয় মায়ের আগমনীর গানের মধ্য দিয়ে। এই জমজমাট আগমনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কালচারেল এডভাইজার কমিটির সহ-সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী,এছাড়া এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, খোয়াই পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার, পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দাস, খোয়াই কালচারাল সেলের সভাপতি দীপঙ্কর ভট্টাচার্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও কাউন্সিলর পিযুস কান্তি দাস চৌধুরী সহ ও অন্যান্যরা। খোয়াই কালচারের সেলের তৃতীয় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এই দিন সন্ধ্যায় আগমনী অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সুব্রত চক্রবর্তী দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন।এবং তিনি বলেন বাঙ্গালীদের বিভিন্ন পূজাতে প্রথম পূজা করা হয় গণেশ কে অর্থাৎ সিদ্ধিদাতা গণেশ কে গণেশ কে পূজা ছাড়া কোন পূজাই সম্পন্ন হয় না ।২০১৮ এর আগে এই দৃশ্য রাজ্যে ছিল না।২০১৮ পর রাজ্যের অনেক জায়গায় বিগত কয়েক বছর ধরে গণেশ পূজো করা হচ্ছে এর মানেটা হচ্ছে গণেশ বন্দনা দিয়ে বাঙ্গালীদের বা হিন্দুদের উৎসবের সূচনা হয়ে থাকে এর পরেই চলে আসে দুর্গ পুজোর দিন এটাই হচ্ছে হিন্দু শাস্ত্রের প্রচলিত নিয়ম যা আগে কোন সময় দেখা যায়নি।এরপর উনার আলোচনাতে তিনি বলেন নতুন প্রজন্মরা নিজেদেরকে আধুনিক করার স্বার্থে আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে ভুলে যাচ্ছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে খোয়াই কালচারাল সেলর উদ্যোগে মায়ের আগমনকে রাঙিয়ে দেওয়ার স্বার্থে যে সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন তার জন্য খোয়াই কালচারাল সেল কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এও বলেন এটা সাংস্কৃতিক শহর বলেই এত সুন্দর অনুষ্ঠানটি করা সম্ভব হয়েছে।এছাড়া তিনি এও বলেন এখানে যারা কোরিওগ্রাফার রয়েছে তারা দেশের অন্যান্য অনুষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে পারবে এক কথায় তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে যে তারা দেশের অন্য জায়গায় গিয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান করার ক্ষমতা রাখে।তাছাড়া এই অনুষ্ঠানে খোয়াই কালচারের সেলর উদ্যোগে ছোট ছোট শিল্পীদের নিয়ে যে আগমনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন সেটা ছিল খুবই প্রশংসনীয়। তাছাড়া তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অভিভাবক দের উদ্দেশ্যে বলেন রাজ্যের প্রতিটি অঞ্চলে তিনি লক্ষ্য করেছেন ছেলেমেয়েরা প্রথমদিকে অর্থাৎ অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ছোট বয়সে পড়াশোনা ছাড়াও গান বাজনা আবৃতি অংকন এইসব বিষয়ে অভিভাবকদের বেশ নজর থাকে কিন্তু যখনই তারা নবম ও দশম শ্রেণীতে উঠে তখনই ছেলে মেয়েদেরকে পড়াশোনার জন্য গান বাজনা আবৃতি এসব বন্ধ করে দেন । সুব্রত চক্রবর্তী মহোদয়ের আবেদন প্রত্যেক অভিভাবকের কাছে যে এই সব গান-বাজনা যেন বন্ধ করে না দেন এই সব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকলে ও ভালো পড়াশোনা করা যায় এর জন্য সারা দিনে ৩০ মিনিট গান-বাজনা,আবৃতি জন্য ব্যয় করলে চলবে। তাছাড়া এই আগমনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী খুব সংক্ষেপে আলোচনা করলেও তিনি খোয়াই কালচারাল সেলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তিনি বলবার চেষ্টা করেন আগামী দিনেও যেন এইরকম সংস্কৃতি কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কালচারালসেল। তাছাড়া এইদিন কালচারাল সেলর উদ্যোগে ছোট ছোট শিল্পী বন্ধুদের নিয়ে মায়ের আগমনের উপর ভিত্তি করে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উদযাপন করা হয়। সব মিলিয়ে খোয়াই নতুন টাউন হল বুধবার সন্ধ্যায় জমজমাট ছিল।