শুক্রবার দুপুরে খোয়াই মহকুমা জুড়ে ব্যাপক শিলা বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ায় কারণে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন খোয়াই এর বিস্তীর্ণ এলাকা মানুষ। শুক্রবার দুপুরে হঠাৎই খোয়াই মহকুমা জুড়ে শিলা বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শুরু হয় । প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চলে শিলাবৃষ্টি। মানুষের ঘরের টিনের ছাওনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিলাবৃষ্টির ফলে টিনের ঘরে বড় বড় ফুটো হয়ে যায়। শুধু বাড়ি ঘরেই নয়। অসংখ্য ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানেরও একই অবস্থা ।এই শিলাবৃষ্টির কারণে 90 শতাংশ মানুষের বাড়ি ঘর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তুলাশিখর ব্লকের ১৭ টি এডিসি ভিলেজ, পদ্মবিল ব্লকের একুশটি এডিসি ভিলেজ এবং খোয়াই ব্লকের তেইশটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও একটি এডিসি ভিলেজে একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও। শিলা বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন সবজি ক্ষেত দুমড়ে মুচরে গেছে। শিলাবৃষ্টির ফলে বিভিন্ন সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। ৭০/৮০ বছর বয়সী লোকেরা এই ধরনের শিলাবৃষ্টি তাদের জীবদ্দশায় কখনো প্রত্যক্ষ করেননি বলে জানিয়েছেন। রৌদ্রের প্রচন্ড দাবদাহে থেকে খানিকটা রক্ষা পেতে মানুষ বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন। বৃষ্টির ফলে দাবদাহে থেকে রক্ষা পেলেও এত বড় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তা খোয়াই বাসী কখনো ভাবেনি। শনিবার সকাল থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে খোয়াই পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গণ নিজ নিজ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অপর দিকে মহাকুমা প্রশাসনের নেতৃত্বে আধিকারিক গণ কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে তোলা শিখর ব্লক এবং পদ্মবিল ব্লকের বিভিন্ন ভিলেজ পরিদর্শনে বেরিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সাহায্যের জন্য এখন মহকুমা প্রশাসনের দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে আছে। এদিকে একাংশ কালোবাজারি গতকালকের পর আজ টিনের দাম ১০০০ টাকা করে বাড়িয়ে নিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফায়দা নিয়ে অসহায় মানুষের কাছ থেকে সামগ্রী বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে ওই সকল কালো বাজারিরা। এই বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনের গোচরেও রয়েছে। খোয়াই পুরো পরিষদের মাননীয় চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথশর্মা সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে কালোবাজারিদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন যদি মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কোন ব্যবসায়িক কালোবাজারি করতে চায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই পরিস্থিতিতে ঘর মেরামত করার কারিগর খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।