১৮৯১ সালের বৃটিশ কোহিমা, শিলচর ও বর্মা তিন দিক থেকে রাজন্য শাসিত মনিপুর আক্রমন করে। বর্মার দিক থেকে অগ্রসরকারী বৃটিশ সেনা বাহিনীর সাথে মেজর পাউনা ব্রজবাসির নেতৃত্বে মনিপুর রাজ বাহিনী খোংজোম নদীর তীরে প্রবল যুদ্ধে অবতীর্ন হয়। যুদ্ধে মনিপুরের স্বাধীনতা অস্তমিত হয়। মেজর পাউনা ব্রজবাসির নেতৃত্বাধীন মনিপুর রাজ বাহিনী পরাজিত হলেও আত্মসমর্পন না করে আমৃত্যু সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গ করে প্রকৃত দেশ প্রেমের পরিচয় দেয়। প্রতি বছর ২৩ শে এপ্রিল দিনটি শ্রদ্ধায় সহিত খোংজোম দিবস নামে পালন করা হয়। এই বছর মনিপুরী লিটারেরী এন্দ কালচারাল ফোরাম, ত্রিপুরা নানা দেশভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে খোংজোম দিবস দিনটি আমাদের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার গৌরনগরস্থিত পাউনা ব্রজবাসি পার্কে শ্রদ্ধার সহিত পালিত হয়। এক ভাবগম্ভির পরিবেশে আয়োজিত এই অনুস্থানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিটারেরী ফোরামের উপদেষ্টা আরকে তরুনজিৎ সিংহ, সহ-সভাপতি লাইপুবম রঞ্জন শর্মা, বিশিষ্ট সমাজসেবী এম. প্রমোদ দত্ত ও এন. মদন গুপ্তা প্রমুখ অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি নিঙোম্বম বীর সিংহ মহাশয়। অতিথিরা পার্কে স্থাপিত স্বাধীনতা সংগ্রামী পাউনা ব্রজবাসির মুর্তিতে পুষ্প স্তবক ও মাল্যদান প্রদান করে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানান ও ঈঙ্গ-মনিপুর যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী স্বাধীনতা সংগ্রামী পাউনা ব্রজবাসি ও অনান্য সেনানীদের স্মরনে দুই মিনিট নিরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্টানে স্বাগত ভাষন রাখেন সাধারন সম্পাদক খোইস্লাম মংগল সিংহ। সাহিত্য অকাদেমি, নিউ দিল্লির মনিপুরী উপদেষ্টা সদয্যা (ত্রিপুরা) কেঐচ. বিরলা সিংহ অনুষ্টানে কবিতা পাঠে অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্টানে খোংজোম নদীর তীরে অনুষ্টিত যুদ্ধের কাহিনী নিয়ে রচিত মনিপুরী লোকগীতি খোংজোম পর্ব পরিবেশন করেন খুমন্থেম রেশ্মী সিংহ তাছাড়া খম্বা-থোইবী লোকনৃত্য, মোইরাং খুমন লোকগীতি ইত্যাদি নানা ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্টান শিশু শিল্পীরা পরিবেশন করেন।