রাজ্যে হোমিওপ্যাথিক কলেজ চালু করা হবে। বহিঃরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের সাথে এই নিয়ে আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য ভিত্তিক বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। ত্রিপুরা রাজ্য আয়ুষ মিশনের উদ্যোগে রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে রাজ্য স্তরীয় বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উদযাপন করা হয় আজ।
রাজ্যে হোমিওপ্যাথিক কলেজ চালু করা হবে। বহিঃরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের সাথে এই নিয়ে আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য ভিত্তিক বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। ত্রিপুরা রাজ্য আয়ুষ মিশনের উদ্যোগে রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে রাজ্য স্তরীয় বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উদযাপন করা হয় আজ। এ বছর বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উদযাপনের থিম হলো “অধ্যয়ন-শিক্ষাদান-গবেষণা”। এদিনের এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্ত্যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব রাজীব দত্ত, মেডিক্যাল এডুকেশন অধিকর্তা H.P. Sharma,জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের যুগ্ম অধিকর্তা গৌরব দেব এবং The Calcutta Homoeopathic Medical College and Hospital-এর সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ নবীন কুমার সিং সহ অন্যান্যরা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর আয়ুষ বিভাগের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক, যোগার মতো চিকিৎসা পদ্ধতিগুলিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সাথে রাজ্য সরকারও সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলেছে। এদিন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে, কিন্তু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে তা হয়না। তাই এই ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়ে মানুষকে আরো জানান দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকদেরই ভুমিকা গ্রহণ করতে হবে। তবেই আজকের এই বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস উদযাপনের থিমটির বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
উলেখ্য, বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসের প্রাক্কালে, রাজ্য আয়ুষ মিশনের উদ্যোগে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশেষ মেগা আয়ুষ স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এই মেগা আয়ুষ স্বাস্থ্য শিবিরগুলির মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি এবং অন্যান্য আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতির সুবিধাগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই মেগা আয়ুষ স্বাস্থ্য শিবিরগুলিতে মোট ১১২৬ জন রোগী চিকিৎসা লাভ করেছেন। পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে সরকার সম্প্রতি হোমিওপ্যাথি মেডিকেল অফিসারও নিয়োগ করেছে এবং আরও নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।