নেশাগ্ৰস্ত অবস্থায় স্বামী সহ স্বামীর বন্ধুবান্ধবরা মিলে দিব্যাঙ্গ স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। জানা গেছে রাজধানী আগরতলা শহরের যোগেন্দ্রনগর এলাকার রঞ্জিত দে এর ছেলে সুব্রত দে আমতলী থানার অন্তর্গত চৌমুহনী বাজার এলাকার এক মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই হিসাবে বসবাস করত। এদিকে সুব্রত দে এর স্ত্রী ৭৫ শতাংশ দীব্যাঙ্গ। এরই মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ সুব্রত দে তার বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে মদের আসর জমায়। সুব্রত দে সহ তার বন্ধুরা আকন্ঠ মন্ত্যপান করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দীব্যাঙ্গ গৃহবধুর উপর জোরপূর্বক ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে ১৪ মার্চ ধর্ষিতা গৃহবধূর পিতা অভিযুক্ত সুব্রত দে সহ সাতজনের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। আমতলী থানার পুলিশ এই ব্যাপারে একটি মামলা নথিভুক্ত করে এবং আমতলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুস্মিতা দেবনাথ এই মামলার তদন্ত শুরু করে। এই ধর্ষণের মামলার তদন্তক্রমে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত স্বামী সুব্রত দেকে গ্রেফতার করে কিন্তু এখনো এই ঘটনার সাথে জড়িত বাকি ছয় জন পলাতক বলে জানিয়েছেন পুলিশ। মামলার তদন্তকারী অফিসার সুস্মিতা দেবনাথ জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই পলাতক ছয় অভিযুক্তকে জালে তোলা হবে। বুধবার অভিযুক্ত সুব্রত দেকে পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের বিশ্বাস অভিযুক্তকে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা খুব সহজ হবে। বুধবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী অফিসার সুস্মিতা দেবনাথ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।