২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পূর্ব ঘোষণা মত মঙ্গলবার সকাল থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ আন্দোলনে সামিল হয়েছে ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস রিটার্নিস পিপলস কাউন্সিল বা টিইউআইআরপিসি। মঙ্গলবার সকাল থেকে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের জিরানিয়া থানার অধীন হতাইকতর ব্রিজের সামনে সংগঠনের সদস্যরা জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করে ।এদিন আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের সংগঠনের নেতা ড্যানিয়েল বরক জানান, অবিলম্বে এই দাবি গুলি পূরণ করতে হবে। দাবি অনাদায়ে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করে তুলবেন তারা।
মঙ্গলবার থেকে পূর্ব ঘোষণা মত আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ আন্দোলনের শামিল হল আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের সংগঠন টিইউআইআরপিসি তথা ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস রিটার্নিস পিপলস কাউন্সিল । এদিন সকাল ছয়টা থেকে সংগঠনের সদস্যরা আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের জিরানিয়া থানার অধীন হতাইকতরের ব্রীজের সামনে এই অবরোধ আন্দোলনে বসেন ।আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যরাও এই আন্দোলনে সামিল হন ।অবরোধের ফলে জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে ।চম্পকনগর এবং বড়মুড়া পাহাড়ে যানবাহনের লাইন ক্রমশই দীর্ঘ হতে শুরু করে ।এই আন্দোলন প্রসঙ্গে আত্মসমর্পণ কারীদের সংগঠন টিইউ আই আরপিসি তথা ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস রিটার্নিস পিপলস কাউন্সিলের সভাপতি ড্যানিয়েল বরক জানান, আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের সাথে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে ।চুক্তি অনুসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের মামলাগুলো তুলে নেওয়া হচ্ছে না। আত্মসমর্পণকারীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে না ।শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের কোন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে না ।এই ধরনের একুশ দফা দাবির ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে তারা কর্তৃপক্ষের সাথে কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এতে তাদের সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলি সূরাহা হচ্ছে না ।তাই তারা এদিন হতাইকতরে জাতীয় সড়ক অবরোধে শামিল হয়েছেন।
উল্লেখ্য সম্প্রতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই আন্দোলন সুচি ঘোষণা করেন ।এই আন্দোলনকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে সদস্যরা গত কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি শুরু করে ।সোমবার বিকেল থেকে হতাইকতরে জমা হতে শুরু করেন সংগঠনের সদস্যরা। তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাই-কতরের জমা হতে শুরু করেন ।এদিকে পুলিশ প্রশাসনও সোমবার দুপুর থেকে সংশ্লিষ্ট স্থানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পুলিশ আধিকারিকরা মঙ্গলবার সকালে একাধিকবার নেতৃবৃন্দের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন এবং অবরোধ আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানান ।কিন্তু আন্দোলনকারীরা পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধ উপেক্ষা করেই অবরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে বরমুড়া পাহাড় এবং চম্পকনগর এলাকায় প্রচুর সংখ্যক গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে ।জাতীয় সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে হতাইকতর এলাকায় ইতিমধ্যেই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।