বৃষ্টি আর বন্যার কারনে মুর্তি পাড়ায় শেষ লগ্নে গণেশ প্রতিমার চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে ।এতে সময়ের ব্যবধান কমে যাওয়ায় হিমসিম খাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। শুক্রবার রাজধানীর নন্দননগর এলাকার এক মৃৎশিল্পী এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন।
ভাদ্র মাসের শুক্লা পক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশ চতুর্থীর পবিত্র উৎসব পালিত হয়। এবছর ৭ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থী ।অন্যান্য বছর পুজোর একমাস আগে থেকেই উদ্যোক্তাদের মধ্যে পূজোর তোড়জোড় শুরু হয়।এর আচ পড়ে মুক্তি পাড়াতেও ।কিন্তু এ বছর বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে অনেক উদ্যোক্তারাই পূজোর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেন। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে পরে তারা পুজোর সিদ্ধান্ত নেন ।এই ক্ষেত্রে কপালে ভাজ পড়তে শুরু করেছে মৃৎশিল্পীদের। কারণ তাদের হাতে সময় খুবই কম। কম সময়ের জন্য অনেক প্রতিমার বায়না মৃৎশিল্পীরা রাখতে পারছেন না ।এদিন রাজধানীর নন্দননগর এলাকার মূর্তিপাড়ায় মৃত শিল্পীদের ব্যস্ততা চোখে পড়ে।ব্যস্ততার মাঝেই এক মৃৎশিল্পী জানান, বৃষ্টি এবং বন্যার জন্য এবছর অনেক পরে তারা বায়না পাচ্ছেন ।কিন্তু হাতে কম সময় থাকায় অনেক পুজো উদ্যোক্তাদেরই ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা ।তিনি আরো জানান ,গত বছর তারা ৩৫টি গণেশ মূর্তির অর্ডার রেখেছিলেন ।এ বছর এই সংখ্যা নেমে এসেছে ২০ টিতে ।তিনি জানান ,অন্যান্য বছরের মতো এবারও গণেশ পূজোর চাহিদা রয়েছে।
এদিকে মূর্তিপাড়ায় এবছর গণেশ প্রতিমার মূল্য বৃদ্ধি পায়নি ।গত বছরের মতোই প্রতিমার মূল্য রয়ে গেছে ।কিন্তু দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিমার আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের। এতে করে প্রতিমা বিক্রি করে প্রাপ্য লাভ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে মৃৎ শিল্পীদের।