সকালে উষ্ণ গরম জলের সঙ্গে হোক বা ঠান্ডা লাগা রুখতে ঘরোয়া টোটকাতেও নানাভাবে ব্যবহার করা হয় মধু। মৌমাছির তৈরি করা এই খাদ্যদ্রব্যের গুণ কিন্তু অপরিসীম।কোন ফুল থেকে মধু তৈরি হচ্ছে, তার উপরই নির্ভর করে মধুর বর্ণ-গন্ধ-স্বাদ কেমন হবে। স্বাদ-গন্ধে পার্থক্য থাকলেও হরেকরকম মধুর উপকারিতায় কোনও ফারাক নেই। দৈনিক খাবারের তালিকায় খুব সহজেই যোগ করা যায় মধু। কী কী উপকার হয় শরীরের? দেখে নিন সেগুলি।
পুষ্টিগুণে ভরপুর
মধুতে প্রায় পুরোটাই শর্করা রয়েছে। সামান্য পরিমাণ ফ্যাটও নেই। সামান্য পরিমাণে রয়েছে প্রোটিন ও ফাইবার। মধুতে রয়েছে বহু পরিমাণে পরিপোষক। পরিফেনলস নামে অত্যন্ত উপকারী যৌগ রয়েছে মধুতে।
রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট
উচ্চমানের মধু,, যেটি গরম করা হয়নি- এমন অবস্থায় তাতে অত্যন্ত উপকারী জৈবযৌগ এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। মধুতে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ফেনোলিক অ্যাসিড যা শরীরের জন্য অতন্ত উপকারী। কোষের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে, প্রদাহ ঠেকাতে কার্যকরী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ ঠেকাতেও কার্যকরী মধু।
ব্লাডসুগারে উপকারী
রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করতে পারে মধু। চিনির তুলনায় অনেকটাই কম ক্ষতিকর। যাঁদের রক্তে অতিরিক্ত শর্করা হয়েছে, অর্থাৎ যাঁরা ডায়াবেটিক তাঁদের মধু খাওয়া ঠিক নয়। তবে চিনির তুলনায় সেটা কম ক্ষতিকর। মধুতে অ্য়ান্টি অক্সিড্যান্ট থাকায় তা মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল
হৃদযন্ত্রের জন্যও উপকারী মধু। রক্তচাপ, রক্তে স্নেহপদার্থের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে মধু। কোষের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও সাহায্য করে মধুর পুষ্টিগুণ। ফলে সব মিলিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
আঘাতেও কার্যকরী
পোড়া জায়গা বা কাটা ঘা শুকোতে মধুর ব্যবহার বহু প্রাচীন। মিশরীয় সভ্যতার সময় থেকে এই কাজে মধুর ব্যবহার দেখা গিয়েছে। কোনও অস্ত্রোপচারের পর ঘা শুকোতেও কাজ করে মধু। মধুমেহ থেকে পায়ে ঘা হয়ে থাকে। সেই সমস্যায় সাময়িক সুরাহা পেতেও কাজ করে মধু।
কফের সমস্য়ায় সুরাহা
প্রায় সব বাচ্চাদের মধ্যেই ঠান্ডা লাগার সমস্যা থাকে। মরসুম বদলের সময় বা ঠান্ডার সময় অনেক বাচ্চাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হয়। সাধারণ ওষুধ ব্যবহারের বদলে মধু ব্যবহার করলে সামান্য সমস্যা অনেকসময়েই উপকার মেলে। জমা কফ দূর করতেও সাহায্য করে মধু।