Sunday, June 22, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদবেহাল রাস্তা পরিদর্শনে বিধায়িকা কল্যাণী

বেহাল রাস্তা পরিদর্শনে বিধায়িকা কল্যাণী

ত্রিপুরা রাজ্য জুড়ে জাতীয় সড়ক দুর্নীতি চরমে! গোটা রাজ্যজুড়ে বহিরাগত ঠিকেদারি সংস্থার লুটত্তরাজ কায়েম! জনগণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা এই সংস্থাগুলি লুটেপুটে খাচ্ছে। কেন বলা হলো জনগণের ট্যাক্সের টাকা? সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে গোটা প্রতিবেদনটি দেখার পরেই। যেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকরনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় হাইওয়ে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেখানে কিছু বহিরাগত বহিরাজ্যের অসাধু ঠিকাদার সংস্থা গোটা রাজ্যের মধ্যে সেই প্রচেষ্টাকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করছে। এমনই এক করুণ চিত্র উঠে এলো তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি—যা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত—তার সংস্কার কাজকে কেন্দ্র করে।

বৃহস্পতিবার ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মাননীয়া বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায় নিজে উপস্থিত থেকে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি। এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন অসংখ্য রোগী হাসপাতালে পৌঁছান চিকিৎসার জন্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির বেহাল দশা রোগী সহ তাদের আত্মীয়স্বজনদের ভয়ংকর দুর্ভোগের মধ্যে ফেলেছে। এই মানবিক সংকটকে গুরুত্ব দিয়ে, বিধায়িকা পরিদর্শনকালে যখন দেখেন যে ভাবিয়া কনস্ট্রাকশন নামের বহির রাজ্যের একটি ঠিকাদারি সংস্থা রাস্তার কাজ না করে মানুষজনকে এই দুর্ভোগে ফেলছে। তখন ওই সংস্থার ম্যানেজার’কে ডেকে বিধায়িকা তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

অভিযোগ, ওই সংস্থাটি রাস্তার কোন কাজ না করেই রাস্তার কাজ করে ফেলেছে বলে বারবার দাবি করছিল। আরো অভিযোগ, রাস্তাটির মধ্যে বিটুমিনের কাজ করার কথা থাকলেও বর্ষা কাল চলে আসার পরেও সংস্থাটি কাজ না করে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করছে এবং জনস্বার্থে কোনো দায়িত্ববোধ দেখাচ্ছে না। তাছাড়া, গোটা রাজ্যজুড়ে নির্মীয়মান বিভিন্ন হাইওয়ে রাস্তার নির্মাণে বহির রাজ্যের এই ঠিকাদারি সংস্থাগুলি চরম লেভেলের দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। এর জলজ্যান্ত আরেকটি উদাহরণ হল, খোয়াই টু কমলপুর পর্যন্ত নতুন ভাবে নির্মাণ করা সড়ক নিম্নমানের কাজের দৌলতে মাস ছয়েকের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়ে বর্তমানে রাস্তাটির যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ বললেই চলে। এই ধরনের আরো বহু ঘটনার নজির রয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। সব মিলিয়ে বলা চলে হাইওয়ে রাস্তা বা জাতীয় সড়ক নির্মাণে দুর্নীতি একেবারে চরমে গিয়ে পৌঁছেছে গোটা রাজ্য জুড়ে।

এদিন বিধায়িকা কল্যানী সাহা রায় কোম্পানির ম্যানেজার’কে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এই ধরনের দায়িত্বহীনতা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। সরকার জনগণের টাকায় এই কাজের বরাদ্দ দিয়েছে, তার একবিন্দু অপচয় বরদাস্ত করা হবে না।”বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় কেবল একজন জনপ্রতিনিধি নন, তিনি একজন মানবিক মুখ—যিনি জানেন, একটি রাস্তা মানে শুধু ইট-পাথরের নির্মাণ নয়, বরং এটি একজন অসুস্থ মানুষের সময়মতো হাসপাতাল পৌঁছানোর আশা, এটি একটি শিশুর সুস্থতার দিকে যাত্রা, এটি একজন মায়ের উদ্বিগ্ন দৃষ্টির প্রতিধ্বনি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে দ্রুততম সময়ে কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য কঠোর নির্দেশ জারি করেছেন।এমন কার্যকর ও মানবিক হস্তক্ষেপ প্রমাণ করে দেয় যে, বর্তমান বিজেপি সরকার শুধু প্রকল্প গ্রহণেই নয়, সেই প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তাও নজরদারির আওতায় রাখে।আজ তেলিয়ামুড়ার মানুষ দেখলেন, তাঁদের জন্য একজন প্রতিনিধি আছেন, যিনি তাঁদের কষ্ট বুঝেন, যিনি কাজ ফেলে রাখার যুক্তি মানেন না, বরং কাজ শেষ করার দায় নিয়ে মাঠে নামেন। কল্যাণী সাহা রায়ের এই দৃঢ় অবস্থান শুধু রাস্তার সংস্কারের কাজকে এগিয়ে দেবে না, বরং জনগণের মনে একটি বার্তা পৌঁছে দেবে—জনসেবার প্রশ্নে কোনও আপোষ নয়।

এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও স্পষ্ট হলো যে বিজেপি সরকারের মূলমন্ত্র হলো “জনগণের সঙ্গে, জনগণের জন্য এবং জনগণের স্বার্থে”। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল রাস্তাটি অচিরেই সংস্কার হবে, এ আশাবাদ আজ জনগণের মনে নতুন করে প্রাণসঞ্চার করেছে।।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

five × 3 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য