বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৭শে মে…… আজ মঙ্গলবার সকালে খোয়াই রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভার অন্তর্গত লালটিলা গ্রামের একটি ইট ভাট্টায় শ্রমিকদের থাকার ঘরে এক মহিলা শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বিছানায়। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে খোয়াই মহিলা থানা এবং খোয়াই থানার পুলিশ সহ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। পুলিশ জানিয়েছে মৃত মহিলার নাম মঞ্জু মুন্ডা তার বয়স ৩৭। বাড়ি ধলা বিল মুন্ডা বস্তিতে। সপ্তাহখানেক পূর্বে মৃত মহিলা বাড়ি থেকে ইট ভাট্টায় কাজে এসেছিল। কিভাবে এই মহিলা শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলো সে বিষয়ে পরিষ্কার চিত্র পাওয়ার জন্য ডাকা হয় ফরেনসিক টিমকে। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে আসার পর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যে মূলক ভাবে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে সংবাদ কর্মীদের মৃত মহিলা শ্রমিকের ছবি তোলা তো দূরের কথা মৃত দেহটি দেখতে পর্যন্ত দেননি। সাংবাদিকদের কাজে বাধা দান করার পাশাপাশি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক উল্টো সাংবাদিকদের ধমক দিতে থাকেন সাংবাদিকরা নাকি পুলিশ ও ফরেনসিক দলের কাজে বাধা দান করছেন। এই ঘটনার পর কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
এই দিকে এই রহস্যজনক খুনের ঘটনায় পুলিশ মৃত মহিলা শ্রমিকের স্বামী সঞ্জি রাম মুন্ডা এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী শেফালী মুন্ডাকে আটক করে। এই খুন কাণ্ডের ঘটনায় রহস্যজনকভাবে পুলিশ সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাধা দান করে আটকে দিয়ে প্রকৃত খুনের বিষয়ে কোনো রকম ভাবে মুখ খুলতে চাননি। অথচ মৃত মহিলা শ্রমিকের আত্মীয় পরিজনেরা পরিষ্কারভাবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, মঞ্জু মুন্ডাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি গতকাল রাতেও মঞ্জু মুন্ডা তার বোনকে ফোন করে তাকে হত্যা করার বিষয়টি জানিয়েছিল।এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে গোটা লালটিলা এলাকা জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয় জনমনে। এখানে একটি বড় প্রশ্ন রয়েছেন বিভিন্ন মহলে।যে খোয়াইতে প্রতিদিন ঘটা করে চুরির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক চোরের টিকির ও নাগাল পাচ্ছে না। চুরির ঘটনা সঙ্গে যুক্ত চোরেদের কিছুতেই বাগে আনতে পারছে না। অথচ আজ এমন এক হম্বিতম্বি করতে ওনাকে লক্ষ্য করা গেল যে খুন কাণ্ডের আশেপাশে কাউকে ভিড়তে দেওয়া হয় নাই। অথচ প্রায় প্রতিদিন খোয়াই শহরে ঘটা করে চোরের দল চুরির ঘটনা সংগঠিত করছে দিন দুপুরে। সেই ক্ষেত্রে খোয়াই মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন খোয়াই শহরের বুদ্ধিজীবী অংশের জনগণ।